পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৩৪ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত করিয়া গেলেন, লক। তাহার আরও উন্নতিসাধন করিয়া, উহাকে দার্শনিক ভিত্তির উপর স্থাপিত করিলেন। লক্‌ বলিলেন যে, সত্যনির্ণয়ের পূর্বে ইহা স্থির করা আবশ্যক যে সত্য কি ? জ্ঞান কি ? জ্ঞেয়ই বা কি ? মানুষ্যের কি বিষয়ের জ্ঞান হইতে পারে এবং কি কি বিষয় জানিবার শক্তি মানুষের একেবারেই নাই। এই সকল বিচার করা আবশ্যক । এই জন্য জ্ঞান কি, তাহার ভিত্তি কি, তাহার উৎপত্তির প্রণালী কি, তাহার লক্ষণ কি, তাহার যাথার্থতার পরিমাণ কি ? লক। তাহার মনোবিজ্ঞান শাস্ত্রে এই সকল বিষয়ের সিদ্ধান্ত করিলেন । ( Essay com cerning the Human Understanding) লক্‌ জ্ঞানের লক্ষণ স্থির করিলেন। জ্ঞানলাভের সম্ভাবনার পরিমাণ কোন বিষয়ে কত দূর আছে এবং কি উপায়ে তাহ প্ৰাপ্ত হওয়া যাইতে পারে, ইহা নিৰ্দ্ধাবণ করিয়া লক্ বেকনের নূতন প্ৰণালীর ভিত্তি দৃঢ়ীকৃত করিলেন। লক প্রদর্শন করিলেন যে, প্ৰাচীন দর্শনশাস্ত্রের অধিকাংশ কথা অর্থশান্য বাক্যমাত্র ; তাহাতে পদার্থের জ্ঞান নাই। লকের মতে মানস প্ৰত্যক্ষ ও ইন্দ্ৰিয় প্ৰত্যক্ষ বিষয়ের অতীত যাহা কিছু আছে, তাহা জানিবার আমাদের শক্তি নাই । সে বিষয়ে আমাদের জ্ঞান, জ্ঞানাভাষ মাত্র, জ্ঞান নহে । লক আরও প্ৰদৰ্শন করিলেন যে, আমাদের কোন জ্ঞান বা ধারণার বাস্তবতা বিষয়ে পরীক্ষা করিতে হইলে, দেখা উচিত যে, সে জ্ঞানের উৎপত্তি কি প্রকারে হইয়াছে ;-কিরূপ অভিজ্ঞতার ( Experience) ভিত্তির উপরে ঐ জ্ঞান প্ৰতিষ্ঠিত । যদি আমাদের ইন্দ্ৰিয়বোধ বা মানসক্রিয়ার উপরে উক্ত জ্ঞান প্ৰতিষ্ঠিত না থাকে, তাহা হইলে উহা নিশ্চয়ই পরিত্যাজ্য। অভিজ্ঞতার (Experience )ভিত্তি অনুসারে স্থির করিতে হইবে যে, সে জ্ঞান যথার্থ কি না, অথবা কতদূর সম্ভবপর। ঐ জ্ঞান কতদূর যথার্থ, স্থির করিতে হইলে বেকনের প্রণালী