পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৩৮ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত। বিশেষ কোন যুগে, বিশেষ জাতিকে বা ব্যক্তিকে পরমেশ্বর বিশেষ * কোন শাস্ত্ৰ দিয়াছেন, অথবা তাহদের বিষয়ে ধৰ্ম্মেব কোন প্রকার বিশেষ বিধান করিয়াছেন, তাহা এই একেশ্বরবাদীরা কোন ক্ৰমেই স্বীকার করিতেন না । তাহারা বলিতেন, পরমেশ্বরের বিধাতৃত্ব বিশ্বজনীন । সকলের প্রতি সমান । প্ৰাকৃতিক নিয়ম ও কাৰ্য্যকাবণসম্বন্ধ দ্বাবা তাহার বিধাতৃত্বের ক্রিয়া হইয়া থাকে । ৬ । সকল দেশে ও সকল জাতীয় লোকে স্বাভাবিক ধৰ্ম্মের আলোক দ্বারা পরিত্ৰাণ লাভ কবিতে পারেন, অর্থাৎ ঈশ্বরে বিশ্বাস করিলে এবং বিবেকের বাণী অনুসারে কার্য্য করিলে, মনুষ্য মুক্তিলাভ করিতে পারে। ধৰ্ম্মসাধন করা, কৰ্ত্তব্য পালন করাই পরিত্রাণের একমাত্র ও বিশ্বজনীন পন্থা । ৭ । নৈতিক নিয়মের উদ্দেশ্য সমাজেব কল্যাণ। উহাই পরমেশ্বরের शेघ्छ। উপরে তঁহাদের ভাবাত্মক মত সকলের বিষয় বলা হইল। নিম্নে তাহাদেব কয়েকটি অভাবাত্মক মতেব কথা বলিতেছি ;- । ঐতিহাসিক শাস্ত্র অর্থাৎ খৃষ্টয়ান শাস্ত্ৰ, মুসলমান শাস্ত্র ३ऊJांति শাস্ত্ৰকে তাহারা অভ্ৰান্ত বলিযা স্বীকার কবিতেন না । শাস্ত্ৰ সকল যে, বিশেষ কোন ঈশ্বরানুপ্ৰাণিত ব্যক্তি দ্বাবা অলৌকিক বা অনৈসর্গিকরূপে প্ৰকাশিত হইয়াছে, ইহা তাহার। স্বীকার করিতেন না । তঁহাদের মতে বিশেষ কোন ঈশ্বরপ্রেরিত শাস্ত্ৰ মানিলে দুইটি দোষ ঘটে । প্ৰথম, পরমেশ্বরের ন্যায়বিচারের প্রতি দোষারোপ হয় । পরমেশ্বর সমগ্ৰ মনুস্যজাতির পিতা । তাহার প্রতি কোন বিশেষ জাতি বা ব্যক্তির বিশেষ দাবী নাই। এইটি ঈশ্বরপ্রেরিত বিশেষ শাস্ত্রের বিরুদ্ধে देनडिक अioद्धि ।