পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৪৪ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত তিনি ইয়োরোপ, এসিয়া এবং মিশরদেশের প্রাচীন ধৰ্ম্ম এবং আমেরিকান ইণ্ডিয়ানদিগের ধৰ্ম্মের ব্যাখ্যা করিয়া প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন যে, আদিম অবস্থায় মানুষ্যের মন প্ৰাকৃতিক ঘটনা সকলের বিষয় চিন্তা করিত । এইৰূপ চিন্তার ফলস্বরূপ নানাপ্রকার ধৰ্ম্মের উৎপত্তি হইয়াছে। কিন্তু ধৰ্ম্মযাজকেরা অলৌকিক ক্রিয়া, কুসংস্কার ও অনেক নীতিবিরুদ্ধ মতের দ্বারা ঐ সকল ধৰ্ম্মকে পূর্ণ করিয়া তাহাদের বাসনা চরিতার্থ করিতেছে। ভলনির মতে, যীশুখ্ৰীষ্ট, তাহার জন্ম, তাহাব ক্ৰশে হত হওয়া এবং মৃত্যুর পরে তাহার পুনরুখান এ সকল সুৰ্য্যসম্বন্ধীয় একটি রূপক মাত্ৰ ; অর্থাৎ তিনি ঐ সকল ঘটনাকে সুৰ্য্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়ন সংক্রান্ত রূপক বলিয়া ব্যাখ্যা করিয়াছেন । সুপ্ৰসিদ্ধ দার্শনিক হিউম ফরাসি দেশের এনসাইক্লোপিডিয়ালেখকদিগের সময়ে, ইংলণ্ডে সুপ্ৰসিদ্ধ দার্শনিক হিউম সাহেব সন্দেহবাদ প্রচার করেন। হিউম সাহেবের এই কয়েকটি বিশেষ মত। প্ৰথম, তিনি অলৌকিক ক্রিয়া (Miracles) অস্বীকার করেন। দ্বিতীয়, পব কাল এবং পাপপুণ্যের দণ্ড ও পুরস্কার বিষয়ে সংশয় প্ৰকাশ করেন ; বলেন যে, ইহার কোন প্ৰমাণ নাই। তৃতীয়, তাহার মতে কাৰ্য্যকারণসম্বন্ধমূলক যুক্তি দ্বারা পরমেশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ হয় না ; কিন্তু কৌশলসম্বন্ধীয় যুক্তিদ্বাবা পরমেশ্বরের অস্তিত্ব যে প্ৰমাণ হয়, ইহা তিনি একপ্রকার স্বীকার করেন । হিউম বলেন, কৌশলসম্বন্ধীয় যুক্তি দ্বারা পরমেশ্বর নিৰ্ম্মাণকৰ্ত্তা বলিয়া প্ৰমাণ হইতে পরে ; কিন্তু স্বষ্টিকৰ্ত্তা বলিয়া প্ৰতিপন্ন হয় না । চতুর্থ, তিনি স্বাভাবিক ও বৈজ্ঞানিক প্ৰণালীদ্বারা ধৰ্ম্মের উৎপত্তি ও ইতিহাস ব্যাখ্যা করেন। ধৰ্ম্ম সকলের উৎপত্তি কিরূপে হইল, ইহা তিনি বিশেষভাবে