পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৪৮ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত রামমোহন রায় মীমাংসাশাস্ত্রের কৰ্ম্মবাদ ব্যাখ্যা করিতে গিয়া বলিয়াছেন যে, পরমেশ্বর নিলিপ্তভাবে কৰ্ম্মানুসাবে ফলবিধান কবেন । তিনি ‘ব্রাহ্মণ-সেবধি” পত্রিকায় পল এবং ক্যালভিনের মত খণ্ডন করিয়াছেন। ৫ । মতাজলেরা বিশ্বাস করিতেন যে, যে সকল জাতি পরমেশ্ববোৰ নিকট হইতে কোন শাস্ত্ৰ প্ৰাপ্ত হন নাই, তাহারাও পরমেশ্বরের জ্ঞান লাভ করিয়া জীবনেব কৰ্ত্তব্য সকল প্ৰতিপালন করিতে পারেন । মনুষ্য স্বাভাবিক বুদ্ধিদ্বাবা ভাল মন্দ জ্ঞান লাভ কবিতে পাবে এবং প্রকৃতভাবে এই স্বাভাবিক জ্ঞানে ব অনুসাবণ করিয়া মনুষ্য মুক্তাবস্থা প্ৰাপ্ত হইতে পারে। পরমেশ্বব যে, তাহাব পয়গম্বাবদিগের্ব দ্বারা মনুম্ভেব নিকটে ধৰ্ম্মনিয়ম প্রেরণ কবেন, ইহা তাহাব পক্ষে একটি বিশেষ অনুগ্রহ মাত্র । এস্থানে দেখা যাইতেছে যে, ইংলণ্ডীয় ডীয়িষ্ট দিগেব সাহিত মতাজলদিগের্ব মতের আশ্চৰ্য্য মিল রহিয়াছে । রাজা রামমোহন বায়ের মতও এইরূপ ছিল। তবে ইংলণ্ডীয় উীয়িষ্ট বা, প্রফেট বা পয়গম্বরে বিশ্বাস করিতেন না ! তোহফাতুল মোযাঞ্চে দীন গ্রন্থে দেখা যায় যে, বাজী বামমোহন রায়ও প্রফেট বা পয়গম্বর একেবাবে অস্বীকাব কবিয়াছিলেন । ইংলণ্ডীয় ডায়িষ্টদিগের মত এই যে, মনুষ্যের স্বাভাবিক জ্ঞানই যথেষ্ট । পয়গম্বরদিগেব দ্বাবা যে পরমেশ্বৰ বিশেষ জ্ঞান প্ৰেবণ কবেন, ইহ। তাহারা স্বীকার করেন নাই। কিন্তু মতাজলে বা তাহা স্বীকা 1 কবিতেন । রাজা রামমোহন রায়ের মত এ বিষয়ে পবিবৰ্ত্তিত হইয়াছিল । তিনি এ বিষয়ে ডীয়িষ্ট দিগেব মত পরিত্যাগ কবিয়া মস্ত জলদি গেব মত গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। তিনি পরে, ঈশ্বরপ্রেরিত মহাপুরুষ মানিতেন। তবে রাজা রামমোহন রায়ের মতানুসারে, স্বাভাবিক জ্ঞানে যাহা বুঝা যায়, মহাপুরুষেরা তাহাই অধিকতব পরিষ্কাব কবিয়া বলিযাছেন। মহাপুরুষ সম্বন্ধে তিনি অলৌকিক কিছুই মানিতেন না।