পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৫.২ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচবিত খ্ৰীষ্টীয় নবম শতাব্দীর প্রারম্ভে, অর্থাৎ মতাজলদেব পঞ্চাশ বৎসব পূর্বে একটি নাস্তিক সম্প্রদায় প্ৰাদুভূত হইয়াছিল। তাহাদিগকে জিন্দিগ বলিত। বোধ হয়, তাহারা ধৰ্ম্মশাস্ত্র ও পরমেশ্ববেব অস্তিত্ব একেবাবেই অস্বীকার করিত । কিন্তু তাহাবা বলিত যে, মানুষুেব কৰ্ত্তব্য এই যে, পরস্পবেব উপকাব করেন এবং মানব-হৃদয়ে স্বভাবতঃ যে নীতিসূত্র সকল লিখিত রহিয়াছে, তাহ পালন কবেন। মতাজলদিগের পঞ্চাশ বৎসব পাবে সবল প্ৰাতৃমণ্ডলী ( Sincere bretherm) নামে এক মুসলমান দার্শনিক সম্প্রদায় প্ৰাদুৰ্ভত হইয়াছিল। ইতারা ফ্রি-মেসনদে বা ন্যায় অনেক বিষয় গোপন বা খিত। এই সম্প্রদায় সমগ্র মুসলমান সাম্রাজ্যে, অর্থাৎ প্ৰায় সমগ্র সভ্য জগতে বিস্তৃত হইয়াছিল। সেই সময়ে যে সকল বিজ্ঞান প্ৰচলিত ছিল, ইহা বা সেই সকলের একটি প্ৰকাণ্ড বিশ্বকোষ ( Encyclopedia ) প্ৰস্তুত কবিয়াছিল। ইহাবা ধৰ্ম্ম ও দর্শনশাস্ত্রেব সামঞ্জস্য করিবােব জন্য বিশেষ চেষ্টা কবিয়ছিল । তোহফাতুল মওয়াহিদীন গ্রন্থেব প্রথমেই বাজা বলিতেছেন যে, তিনি অনেক দেশ ভ্ৰমণ করিয়া, অনেক জাতিব ধৰ্ম্মপ্ৰণালী দেখিয়া ও সেই সকল ধৰ্ম্মকে পবিত্সম্পব তুলনা কবিয়া নিম্নলিখিত দুইটি বিষয জানিতে পাবিয়াছেন । বিশ্বজনীন ও সাম্প্রদায়িক বিশ্বাস প্ৰথম, সকল ধৰ্ম্মেই জগতের কৰ্ত্তা ও বিধাতা, একজন পবমেশ্ববোব অস্তিত্ব স্বীকার কবা হইয়াছে । দ্বিতীয়, যেমন ঈশ্বরের অস্তিত্ব বিষয়ে সকল ধৰ্ম্মাবলম্বীর মধ্যে একমত দেখা যায়, সেইরূপ, ঈশ্বরের বিশেষ বিশেষ স্বরূপলক্ষণ সম্বন্ধে তাহাদিগের