পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৃহপ্ৰত্যাবৰ্ত্তন, শাস্ত্ৰচৰ্চা, পুনর্বর্জন ও বিষয়কৰ্ম্ম ৩৩ পুত্রের বিবাহ ও দলাদলি রামমোহন রায়ের জ্যেষ্ঠ পুত্র রাধাপ্ৰসাদের বিবাহের সময় হিন্দুসমাজে মহা আন্দোলন উপস্থিত হইয়াছিল । কিন্তু আন্দোলনকারিগণ কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন নাই। হুগলি জিলার অন্তৰ্গত। ইড়পাড়া গ্রামে জনৈক সন্ত্রান্ত ব্যক্তি রাধাপ্ৰসাদকে কন্যা সম্প্রদান করেন । গ্রামে উৎপাত কৃষ্ণনগরের সন্নিহিত রামনগর গ্রামে, রামজয় বটব্যাল নামক এক ব্যক্তি চারি। পাচ হাজার লোক লইয়া এক প্ৰধান দলপতি হন। রামমোহন রায় পৌত্তলিকতার প্রতিবাদ ও ব্ৰহ্মজ্ঞান প্রচার করেন বলিয়া তিনি তাহাকে নানাপ্রকারে কষ্ট দিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন। বটব্যালের লোক সকল অতি প্ৰত্যুষে আসিয়া রামমোহন রায়ের বাটীর নিকট ক্ৰমাগত কুকুটধ্বনি করিত ; এবং সন্ধ্যার পর, তাহার অন্তঃপুরে গো-হাড় প্রভৃতি পদার্থ নিক্ষেপ করিত। তাহারা এই প্ৰকার অত্যাচাব দ্বারা পরিবারগণকে ব্যতিব্যস্ত করিয়া তুলিল। কিন্তু রামমোহন রায়ের অসাধারণ ধৈৰ্য্য কিছুতে পরাভব মানিল না। কোন প্রকার প্রতিহিংসা করা দূরে থাকুক, তিনি সর্বদাই সদ্ভাবিদ্বারা অসদ্ভাবকে জয় করিতে চেষ্টা করিতেন । কিন্তু তাহার মিষ্ট কথায় ও সদুপাদেশে, তাহারা ভুলিবার লোক ছিল না ; বরং তঁহাকে একান্ত ধৈৰ্য্যশীল দেখিয়া উৎপাত আরও বৃদ্ধি করিয়াছিল। পরিশেষে আপনা। আপনি সকল থামিয়া গেল । মাতাদুৰ্ত্তিক তাড়িত হইয়া রঘুনাথপুরে গৃহনিৰ্ম্মাণ বাহিz»র লোকের উৎপাত থামিলে কি হয় ? এদিকে মাতা ফুলঠাকুরুর্গ পুত্রের প্রতি দিন দিন বিরক্ত হইতে লাগিলেন। রামমোহন 3