পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা রামমোহন রায়ের ধৰ্ম্মবিষয়ক মত ¢ ¢ ዓ যে, রাজা সকল ধৰ্ম্মেব বিষয় আলোচনা করিয়া সিদ্ধান্ত করিয়াছেন যে, পরমেশ্বরে বিশ্বাস বিশ্বজনীন । এই বিশ্বজনীন স্বাভাবিক বিশ্বাস, কাৰ্য্যকারণ-সম্বন্ধীয় যুক্তি এবং কৌশল সম্বন্ধীয় যুক্তির দ্বারাও সমৰ্থিত হইয়াছে। রাজার মতে পরমেশ্বরের অস্তিত্বরূপ সত্য, সকল ধৰ্ম্মেই বৰ্ত্তমান। রাজার মতে, সকল ধৰ্ম্মের লোক যখন পরমেশ্বরকে সৃষ্টিকৰ্ত্তা ও বিধাতা বলিয়া বিশ্বাস করিতেছেন, তখন সকল ধৰ্ম্মেই সত্য আছে। দ্বিতীয়তঃ, সকল ধৰ্ম্মেই যখন বিশেষ বিশেষ অমূলক মত এবং বিশেষ বিশেষ অযুক্তিসিদ্ধ বাহা অনুষ্ঠান সকল বহিয়াছে, তখন সকল ধৰ্ম্মেই অসত্য বৰ্ত্তমান। কিরূপে সত্যানুসন্ধান করিবে ? তৎপরে রাজা বলিতেছেন যে, লোকে স্বাভাবিক বিশ্বাস এবং অভ্যাসসস্তৃত ও বাহ কারণে উৎপন্ন সংস্কারের মধ্যে প্ৰভেদ নির্ণয় করিতে পারে না । এ বিষয়ে বাজাব মত অষ্টাদশ শতাব্দীর উীয়িষ্টদিগেব তুল্য। তাহাব পর বাজা বলিতেছেন যে, ধৰ্ম্মবিষয়ে অনুসন্ধান করিয়া দেখা আবশ্যক যে, কি স্বাভাবিক ও কি অস্বাভাবিক, কি আন্তরিক এবং কি বা বাহ ও আকস্মিক কারণে উৎপন্ন। সত্যনিৰ্ণয় করিতে হইলে এরূপ অনুসন্ধান আবশ্যক ; কিন্তু লোকে তাহা কবে না । সুপ্ৰসিদ্ধ ইয়োরোপীয় দার্শনিক লকও একথা বলিয়া গিয়াছেন । রাজা বলেন যে, সকল বিষয়েই দুইটি বিষয় অনুসন্ধান করা আবশ্যক। প্ৰথম, ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীভুক্ত পদার্থ সকলের বাস্তব প্ৰকৃতি ও গুণ । দ্বিতীয়, ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীবি কাৰ্য্যের জ্ঞান, সেই সকল কাৰ্য্যের ফল এবং ফলের তারতম্য। এই দুইটি বিষয় জ্ঞানোেপার্জনেব পক্ষে একান্ত আবশ্যক। কেন লোকে সত্যানুসন্ধান করে না ? এই কথাটি আরবদেশীয় দর্শনশাস্ত্ৰে বিশেষভাবে বলা হইয়াছে। পূর্বে