পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা রামমোহন রায়ের ধৰ্ম্মবিষষয়ক মত GVVC) যাজক ও রাজাদিগের সৃষ্টি । ইহাদের মতে, ধৰ্ম্মমাত্ৰকেই উচ্ছেদ করিয়া, জগৎকে, মনুষ্যজাতিকে উদ্ধার করা আবশ্যক । এইরূপে মনুষ্যজাতিকে উদ্ধার করিবার উপায়, ধৰ্ম্মবিহীন শিক্ষা । মানবের ইন্দ্ৰিয় ও ইন্দ্ৰিয়ের বিষয় সকল, মানবের শারীরিক অভাব সকল এবং জ্ঞানানুমোদিত স্বার্থের উপরে লোকশিক্ষাকে প্ৰতিষ্ঠিত করিতে হইবে । প্ৰত্যেক ব্যক্তিকে তাহার সামাজিক অধিকার ও কৰ্ত্তব্যের বিষয় শিক্ষা দিতে হইবে। গবৰ্ণমেণ্ট, দেশের প্রত্যেক বালক ও বালিকাকে এই প্ৰকার শিক্ষা প্ৰদান করিবেন। এই দলের লোকই প্ৰথমে জাতীয় সাধারণ শিক্ষার মত প্রচার করেন । এই দলের অনেকে বলিতেন যে, ধৰ্ম্ম আর কিছুই নহে, কেবল পরের মঙ্গল করিয়া আপনার মঙ্গল সাধন করিবার পন্থামাত্র । ধৰ্ম্ম কেবল জ্ঞানানুমোদিত স্বাৰ্থসিদ্ধি । সুপ্ৰসিদ্ধ দার্শনিক হিউম আর একজন মহারথীর কথা এ স্থলে বলা আবশ্যক । ইনি ংশয়বাদী হিউম। হিউম মনে করিতেন যে, পাপ-পুণ্যের পারলৌকিক দণ্ড-পুরস্কার প্রমাণ করা যায় না ; অপ্রমাণও করা যায় না । মানবাত্মার অস্তিত্ব, মানবাত্মার অমরত্ব প্ৰভৃতি বিষয়ে মানুষ্যের বুদ্ধি কোন স্থিরসিদ্ধান্তে উপনীত হইতে পারে না। কিন্তু হিউম বলেন যে, জগতের কৌশল দেখিলে আভাষ পাওয়া যায় যে, একজন জ্ঞানময় নিৰ্ম্মাণকৰ্ত্তা আছেন। তাহার স্বরূপ বা অন্যান্য লক্ষণ কিছুই জানা যায় না। র্তাহার মতে, যদিও এই সকল বিষয়ু মানব-বুদ্ধির অতীত, তথাচ ঈশ্বর, পরলোক ও স্বৰ্গ-নরকে বিশ্বাস এবং ধৰ্ম্মের বাহানুষ্ঠান নিচয় · * ধৰ্বসাধারণ লোকের পক্ষে বিশেষ প্রয়োজনীয়। সৰ্ব্বসাধারণ লোকে