পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৬৬ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত দেহাতিরিক্ত আত্মাতে বিশ্বাস এবং পরলোক ও পারলৌকিক দণ্ড-পুরস্কারে বিশ্বাস । এস্থলে রাজা ধৰ্ম্মের দুইটি ভিত্তির কথাই বলিলেন। প্ৰথম, দেহাতিরিক্ত আত্মায় বিশ্বাস। দ্বিতীয়, পরলোকে পাপ-পুণ্যের ফলভোগে বিশ্বাস। রাজা ঈশ্বরে বিশ্বাসের কথা বলিলেন না কেন ? এ প্রশ্ন সহজেই উপস্থিত হইতে পারে। ইহার উত্তর এই যে, দ্বিতীয় বিশ্বাসটিতে অর্থাৎ পরলোকে পাপ-পুণ্যের ফলভোগে বিশ্বাসে ঈশ্বর বিশ্বাস উহ্য রহিয়াছে। কেননা ঈশ্বরই ফলদাতা। সমাজের অঙ্গ কি ? এই প্রসঙ্গে পরমেশ্বরের পূর্ণত্ব, ও স্বষ্টিক তৃত্ব বিষয়ে কিছু বলিবার প্রয়োজন নাই। এ সকল কথার সহিত সামাজিক প্রসঙ্গের সম্বন্ধ নাই। তবে পরমেশ্বর যে, পাপ-পুণ্যের LDBBDBD D0 KBDS DBB D BBBDSgBB DBDBBDDBk DBDDBD DDDS দ্বিতীয়তঃ, রাজা বলিতেছেন যে, এই সকল ধৰ্ম্ম-বিশ্বাস সমাজসংগঠনেব পক্ষে একান্ত আবশ্যক। এগুলি সমাজের অঙ্গস্বরূপ। এস্থলে রাজা সমাজকে ধৰ্ম্মের অঙ্গ না বলিয়া ধৰ্ম্মকে সমাজের অঙ্গ বলিতেছেন । ইহা ইউরোপীয় পণ্ডিত হিউম ও ক্যাণ্ট এবং ফরাসীদেশীয় এনসাইক্লোপিডিষ্টদিগের মত। তৃতীয়তঃ, রাজা তিনটি বিষয়কে, সমাজের অঙ্গরূপে স্বীকার করিয়াছেন। প্রথম ভাষা, দ্বিতীয় আইন ও আচার ব্যবহার, তৃতীয় ধৰ্ম্ম। ধৰ্ম্মবিশ্বাসকে রাজা দুই ভাগে বিভক্ত করিয়াছেন। প্ৰথম, ধৰ্ম্মের মূল বিশ্বাস, যেমন আত্মায় বিশ্বাস এবং পরমেশ্বর কর্তৃক পারলৌকিক দণ্ড-পুরস্কারে বিশ্বাস। এই মূল বিশ্বাস, জনসমাজ সংগঠনের পক্ষে একান্ত আবশ্যক } এতদ্ভিন্ন, রাজার মতে এমন অনেক প্ৰকার ধৰ্ম্মবিশ্বাস আছে, যাহা জনসমাজ-সংগঠনের পক্ষে প্রয়োজনীয় নহে ; বরং অনেক স্থলে সমাজেব পক্ষে অনিষ্টকর। যেমন, শুভ ও অশুভ, শুচি ও অশুচি এবং