পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা রামমোহন রায়ের ধৰ্ম্মবিষয়ক মত (?:\ଅନ୍ଧ করি। পরমেশ্বর যে, বিশেষ কালে বা বিশেষ দেশে কোন বিশেষ শাস্ত্র দিয়াছেন, ইহা রাজা স্বীকার করিতেন না । রাজার মতে সমাজের হিতসাধন করা আমাদের পরম ধৰ্ম্ম । ইহা ভিন্ন যে সকল ধৰ্ম্মবিধি আছে, তাহা নিস্ফল অথবা অনিষ্টকর। এই দুইটি রাজার স্থিরসিদ্ধান্ত । তহ ফাতুল মোয়াহ হেদ্দীন গ্রন্থের এই সকল মত রাজা চিরজীবনই এক প্রকার সমর্থন করিয়া গিয়াছেন । ঈশ্বর ও আত্মা যে, স্বরূপতঃ অজ্ঞেয় তাহা তিনি তঁাহার রচিত বেদান্তসার প্রভৃতি গ্রন্থেও স্বীকার করিয়া গিয়াছেন। পরলোকাদির স্বরূপ বিষয়ে কিছু না বলিয়া রাজা চিরদিনই বলিয়াছেন, শমদমাদি সাধন ও লোকহিতপালনই পরম ধৰ্ম্ম । সত্যসত্য বিচার তৎপরে রাজা বলিতেছেন যে, মনুষ্যের এমন একটি স্বাভাবিক মানসিক শক্তি আছে, যদ্বারা মনুষ্য সত্য এবং অসত্যের প্রভেদ বুঝিতে পারে ; অর্থাৎ ন্যায়বান ও অপক্ষপাতী হইয়া কুসংস্কার পরিত্যাগপূর্বক অনুসন্ধান করিলে মনুষ্য ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম, সত্যাসত্য নিরূপণ করিতে সমর্থ হয় । জ্ঞানের আলোচনা দ্বারা ধৰ্ম্মবিষয়ে সত্যাসত্য বিচার করা একান্ত অবশ্যক। ধৰ্ম্মবিষয়ে জ্ঞানদ্বারা সত্যনিরূপণ করিবার অধিকার প্রত্যেক ব্যক্তির আছে। সুপ্ৰসিদ্ধ দার্শনিক পণ্ডিত লক বিশেষভাবে এই মতটি প্রচার করিয়াছিলেন। ইহা শাস্ত্ৰনিরপেক্ষ যুক্তিবাদের মূলসূত্র। ইংলণ্ডীয় উীয়িষ্টগণ এবং ফরাসীদেশীয় এনসাক্লোপিডিষ্টগণ ইহা স্বীকার করিতেন। মতাজল নামক যে মুসলমান সম্প্রদায়ের কথা বলা হইয়াছে, তাহাবাও ইহা বিশেষভাবে মানিতেন । দ্বিতীয় কথা এই যে, এইরূপে কুসংস্কার-বিবর্জিত হইয়া জ্ঞানদ্বারা • অনুসন্ধান করিলে, মনুষ্য অন্যান্য ধৰ্ম্মমত পরিত্যাগপূর্বক কেবলমাত্র