পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ ア● মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত কিন্তু রাজা বলিতেছেন যে, অলৌকিক ঘটনা সম্বন্ধে যে সকল কিম্বদন্তী রহিয়াছে, তাহা এ প্রকার নহে। তাহ পরস্পরবিরুদ্ধ এবং আমাদের ‘জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা বিরুদ্ধ । কিম্বদন্তী সকল পরস্পরবিরুদ্ধ হওয়াতে, ইহা প্ৰতিপন্ন হইতেছে যে, উহা অমূলক । কিম্বদন্তী সকল জ্ঞানের বিরুদ্ধ ও পরস্পরবিরুদ্ধ বলিয়া আমরা উহাতে বিশ্বাস স্থাপন করিতে পারি না । অলৌকিক ক্রিয়ায় বিশ্বাসের পক্ষে দ্বিতীয় যুক্তি এই যে, আমরা সমুদায় ঐতিহাসিক ঘটনা শব্দপ্রমাণে বিশ্বাস করিয়া থাকি। অলৌকিক ক্রিয়ার পক্ষীসমর্থনকারিগণ বলেন যে, যদি তুমি প্ৰাচীনকালের রাজাদিগের বৃত্তান্ত শব্দপ্রমাণে বিশ্বাস করিতে পারে, তাহা হইলে সেই প্ৰকার প্রমাণেই অলৌকিক ক্রিয়ায় বিশ্বাস কর না কেন ? বোধ হয়, পেলি এবং হোয়েটুলি সাহেবের যুক্তি স্মৰণ করিয়া, রাজা এই প্রশ্ন উত্থাপন করিয়াছেন । হোয়েটুলি বলিয়াছেন যে, যদি নেপোলিয়ান বোনাপার্টির বৃত্তান্ত বিশ্বাস কর, তাহা হইলে যীশুখ্রীষ্টের পুনরুত্থানে কেমন করিয়া অবিশ্বাস করিতে পার ? উভয় প্রকার ঘটনাই এক প্রকার প্রমাণদ্বারা সমর্থিত হইতেছে । রাজা এই যুক্তির উত্তরে বলিতেছেন যে, ঐতিহাসিক ঘটনার প্ৰকৃত প্ৰমাণ কিরূপ হওয়া আবশ্যক, তাহ পূর্বে বলা হইয়াছে ; অর্থাৎ তাহার বিবরণ আমাদের জ্ঞানবিরুদ্ধ এবং পরস্পরবিরুদ্ধ না হয় । ইতিহাসে যে সকল রাজার বৃত্তান্ত আছে, তাহা এই প্ৰকার। রাজার সিংহাসনারোহণ, শত্রুদিগের সহিত র্তাহাদের যুদ্ধ প্ৰভৃতি বৃত্তান্ত ঐ প্রকার বলিয়া, অর্থাৎ উহা আমাদের জ্ঞানবিরুদ্ধ ও পরস্পর বিরুদ্ধ নহে বলিয়া আমরা উহাতে বিশ্বাস স্থাপন করিতে পারি। কিন্তু অলৌকিক ক্রিয়ার বৃত্তান্ত সেরূপ নহে। উহা আমাদের জ্ঞানবিরুদ্ধ