পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা রামমোহন রায়ের ধৰ্ম্মবিষয়ক মত Qbr○ মৌলিকত্বই প্ৰকাশ পাইতেছে। সেকেন্দার সার চীনদেশবিজয়ের দৃষ্টান্তদ্বারা ঐতিহাসিক ঘটনা সম্বন্ধীয় প্রমাণের বিষয়টি কেমন পরিষ্কার করিয়া বুঝাইয়া দিয়াছেন!! এক্ষণে ঐতিহাসিক সমালোচনা প্ৰণালী প্ৰতিষ্ঠিত হইয়াছে। তাহার সময়ে উহা কিছুই ছিল না । সুতরাং র্তাহার ঐতিহাসিক সমালোচনা যথার্থই বিস্ময়কর। অলৌকিক ক্রিয়াবাদিগণ বলেন যে, কে কাহার পুত্র, ইহা শব্দপ্ৰমাণে বিশ্বাস করিতে হয়। সুতরাং শব্দপ্রমাণে অলৌকিক ক্রিয়ায় বিশ্বাস করা কখনও যুক্তিবিরুদ্ধ হইতে পারে না। রাজা এই যুক্তির উত্তরে বলিতেছেন যে, পুত্রের পিতা নির্ণয় সম্বন্ধে, অবশ্য, শব্দপ্রমাণের প্ৰতি নির্ভর করিতে হয় । একজাতীয় জীবের মধ্যে সন্তানের উৎপত্তি জগতে সর্বদাই দেখা যায়। ইহা প্ৰাকৃতির নিয়ম। কিন্তু প্ৰাকৃতিক নিয়মবিরুদ্ধ কোন ঘটনার কথা বলিলে, আমরা তাহা বিশ্বাস করিতে পারি না । যেমন খ্ৰীষ্টিয়ানেরা বলেন, যীশুখ্রীষ্টের জন্ম প্ৰাকৃতিক নিয়মানুসারে হয় নাই । ইহা কখনও বিশ্বাসযোগ্য হইতে পারে না । অপর গ্রস্থে রাজা বলিয়াছেন যে, একজাতীয় পিতামাতার সন্তান, যদি ভিন্ন জাতীয় জীব বলিয়া কথিত হয়, তাহা হইলে বলিতে হইবে, উক্ত সন্তানের জন্ম প্রাকৃতিক নিয়মানুসারে হয় নাই । এইরূপ অস্বাভাবিক জীবের কথা রাজা উপহাসের সহিত উড়াইয়া দিয়াছেন । মধ্যবৰ্ত্তিবাদ তৎপরে, রাজা মধ্যবৰ্ত্তিবাদ খণ্ডন করিতেছেন। তহ ফাতুল মোওয়াহেদীন গ্রন্থে রাজা পয়গম্বরদিগের মধ্যবৰ্ত্তিত্ব অস্বীকার করিয়াছেন। ঈশ্বর এবং মানুষ্যের মধ্যে, পয়গম্বরগণ যে মধ্যবৰ্ত্তী, এবং তঁহাদের মধ্য দিয়া পরমেশ্বর শাস্ত্ৰ প্রেরণ করেন, রাজা ইহা স্বীকার করেন নাই ।