পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা রামমোহন রায়ের ধৰ্ম্মবিষয়ক মত (፩bም'(ሱ বিভিন্ন ধৰ্ম্মাবলম্বিগণ বিভিন্ন পয়গম্বর ও শাস্ত্ৰ স্বীকার করেন । এই সকল পয়গম্বর ও শাস্ত্র পরস্পরবিরোধী । এক ধৰ্ম্মাবলম্বী লোকে যাহাকে প্রকৃত নেতা বলিয়া মনে কবেন, অপর ধৰ্ম্মাবলম্বিগণ র্তাহাকেই ভ্ৰান্ত বা প্ৰতারক বলিয়া বিশ্বাস করেন । সুতরাং ইহা বলিতে হইবে যে, অন্ততঃ এক পক্ষে ভ্ৰম আছে। যদি পরমেশ্বব স্বয়ং পয়গম্বর ও শাস্ত্ৰ পাঠাইতেন, তাহা হইলে এরূপ ভ্ৰান্তির সম্ভাবনা থাকিত না । আর এ কথাও বলা যায় না যে, একটি জাতি বা ধৰ্ম্ম-সম্প্রদায়ের মধ্যে ঈশ্বরপ্রেরিত শাস্ত্র ও পয়গম্বর আবদ্ধ ; অপর সকলে তাহ প্ৰাপ্ত হয় নাই। এরূপ কথা বলিবার যথেষ্ট যুক্তি কিছুই নাই, এবং এরূপ কথা বলিলে পরমেশ্বরকে পক্ষপাতী বলা হয়। পরমেশ্বর সমাদশী ; সুতরাং সকল পয়গম্বরের ও সকল শাস্ত্ৰে ভ্ৰান্তি থাকিবার সম্ভাবনা । অর্থাৎ এই সকল ভ্ৰান্তি ও বিরোধ মনুষেব । যাহা কিছু মনুষ্যকৃত, মনুষ্যের বুদ্ধি হইতে যাহা কিছু উৎপন্ন, তাহাতেই ভ্ৰান্তি ও পরস্পরবিরোধ থাকিবার সম্ভাবনা । শাস্ত্র ও মহাপুরুষবাদের মধ্যে ভ্ৰমপ্ৰমাদ থাকা সম্ভব। মহাপুরুষবাদ ও শাস্ত্ৰে, অলৌকিক ও অতিমানুষিক ব্যাপার কিছুই নাই । ঋষিদিগের ব্ৰহ্মজ্ঞান স্বাভাবিক রাজা এস্থলে মুসলমান এবং খ্ৰীষ্টিয়ানদিগকে লক্ষ্য করিয়াই পয়গম্বব ও প্রফেট্‌বাদীদিগের মত খণ্ডন করিতেছেন । হিন্দুরা বলেন যে, ঋষিদিগের নিকট পরমেশ্বর সত্য প্ৰকাশ করিয়াছিলেন । শাস্ত্রের প্ৰকৃত তাৎপৰ্য্য গ্ৰহণ করিলে বুঝা যায় যে, উহা খ্ৰীষ্টিয়ান ও মুসলমানদিগের মতের ন্যায় নহে | ঋষিদিগের যে অপরোক্ষ জ্ঞান, তাহা পরমেশ্বরের কোন অলৌকিক বিশেষ ক্রিয়া নহে। উহা আত্মার অবস্থা