পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(brやり মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত বিশেষে পরমেশ্বরের প্রকাশ । যে কোন ব্যক্তি সেই অবস্থায় উপনীত হন, তিনিই সেই অপরোক্ষজ্ঞান লাভ করেন। পরমেশ্বর তখন তাহার নিকট প্ৰকাশিত হন । উপনিষদাদি শাস্ত্ৰে যে আত্মজ্ঞান আছে, তাহা এইরূপ অবস্থাপ্ৰাপ্ত ঋষিদিগের অপরোক্ষভাবে লব্ধ জ্ঞান। তাহ। বিশেষ কোন অলৌকিক প্ৰত্যাদেশ নহে। হিন্দুদিগের মধ্যে যে অবতারবাদ রহিয়াছে, তাহাও এই ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। পৌরাণিক ও তান্ত্রিক গুরুবাদে, কতক পরিমাণে উপনিষদেব ভাব আছে এবং কতক পরিমাণে মধ্যবৰ্ত্তিবাদও রহিয়াছে । সকল ধৰ্ম্মই কি ঈশ্বরপ্রেরিত ? পূর্বে রাজা বলিলেন যে, বিভিন্ন প্রকার ধৰ্ম্মের মধ্যে আতিশয় বিরোধ রহিয়াছে। সুতরাং এই সকল ধৰ্ম্মের। প্ৰবৰ্ত্তকগণ সকলেই যে বিশেষ ভাবে ঈশ্বরপ্রেরিত ইহা হইতে পারে না । রাজার এই আপত্তিব উত্তরে কোন কোন লোক বলেন যে, যদিও বিভিন্ন ধৰ্ম্মের বিধি বিষয়ে পরস্পর বিরোধ আছে, তথাপি সে সকল ধৰ্ম্মকে মিথ্যা বলা যায় না। সকল ধৰ্ম্মই ঈশ্বরপ্রেরিত। সকল ধৰ্ম্মই পরমেশ্বরের বিধান। র্যাহাদের এই প্ৰকার মত, তঁহাদের যুক্তি কি ? তাহদের যুক্তি এই যে, যেমন রাজার নিয়ম দেশকালানুযায়ী বিভিন্ন প্ৰকার হইয়া থাকে, সেইরূপ, পরমেশ্বরের ধৰ্ম্মবিষয়ক বিধান, দেশকাল অনুসারে বিভিন্ন প্ৰকার হইয়াছে। দেশকালের বিভেদ অনুসারে, পরমেশ্বর পরস্পরবিরোধী ও বিভিন্ন ব্যবস্থা প্রেরণ করিয়াছেন। রাজাদিগের মধ্যে দেখা যায় যে, এক সময়ে তাহারা যে আইন প্রচার করেন, জনসমাজের অবস্থা পরিবৰ্ত্তিত হইলে, আবার তাহা রহিত করিয়া নুতন আইন প্রচার করেন। সেইরূপ, জনসমাজের বিভিন্ন প্ৰকার অবস্থা অনুসারে,পরমেশ্বর বিভিন্ন কালে ও দেশে, বিভিন্ন