পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q忘o মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত উভয় ধৰ্ম্মই পরমেশ্বরের বিধান ? বুদ্ধিমান ব্যক্তি সহজেই বুঝিতে পারেন যে, পরমেশ্বরের জ্ঞান, দয়া ও অপক্ষপাতিত্বের সহিত এই সকল পবশম্পরবিরোধী বিধি ও আদেশের সামঞ্জস্য নাই ; এ সকল মনুষ্যকৃত। এ স্থলে রাজা প্ৰমাণ করিলেন যে, বিভিন্ন ধৰ্ম্ম সকলকে পরমেশ্বরের বিশেষ বিধান বলা যায় না । তৎসঙ্গে ইহাও প্ৰতিপন্ন হইল যে, বিশেষ বিশেষ ধৰ্ম্মে পরমেশ্বরের পূর্ণ নীতি ও সত্য প্ৰকাশিত হয় নাই। পূর্ণনীতি ও পূর্ণসত্য কোন ধৰ্ম্মেই প্ৰকাশিত হয় নাই । ধৰ্ম্ম সকল, আপেক্ষিক এবং মানবীয় । কোন ধৰ্ম্মই অপ্ৰাকৃতিক ও অতিমানুষিক নহে । রাজার তৃতীয় উত্তর এই যে, এই সকল বিভিন্ন ধৰ্ম্মের মধ্যে, যে বিরোধ রহিয়াছে, তাহা কেবল বিধি, কৰ্ত্তব্য বা মত বিষয়ে নহে। ঘটনা সম্বন্ধেও বিরোধ রহিয়াছে। বিধি হইলে তাহ প্ৰচলিত, পবিবৰ্ত্তিত ও রহিত হইতে পারে। কিন্তু ঘটনা পরিবত্তিত বা রহিত হওয়া সম্ভব নহে। যেমন য়াহুদী, খ্ৰীষ্টিয়ান ও মুসলমান শাস্ত্রের মধ্যে, পয়গম্বর বা মহাপুরুষের আবির্ভাব লইয়া বিরোধ দৃষ্ট হইতেছে। কোন শাস্ত্ৰে বলা হইতেছে যে, আর পয়গম্বর আসিবে না । কোন বিশেষ ব্যক্তিকে আখেরী পয়গম্বর বলা হইতেছে, তিনিই শেষ পয়গম্বব । কোন সম্প্রদায়ের লোক বলিতেছেন যে, দাউদের বংশে ভবিষ্যতে পয়গম্বর আসিবেন । খ্ৰীষ্টিয়ান ও মুসলমান শাস্ত্রানুসারে মহাপুরুষের আগমন শেষ হইলেও, দেখা যাইতেছে যে, অন্য সম্প্রদায়ের লোক নূতন নূতন মহাপুরুষ স্বীকার করিতেছেন। নানক প্রভৃতি তাহার पूछे।ाख्-श्ल। স্পষ্টই বুঝা যাইতেছে যে, পয়গম্বরের আবির্ভাব অলৌকিক ব্যাপার নহে। যে সকল ব্যক্তি আপনাদিগকে অলৌকিকভাবে ঈশ্বরপ্রেরিত পয়গম্বর বলিয়া বিশ্বাস করেন, তাহদের চিন্তাবিহীনতা, কুসংস্কার, অন্ধ