পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা রামমোহন রায়ের ধৰ্ম্মবিষয়ক মত GSV) ভাব রাজার চিন্তাশীল চিত্তে ক্ৰমে বিকশিত হইয়াছিল। কিন্তু তহ ফাতুল মওয়াহিদ্দীন গ্রন্থে তিনি যে সকল মত প্ৰকাশ করিয়াছিলেন, তাহার বিরোধী মত কখনও পোষণ করেন নাই । যাহাতে সামাজিক শৃঙ্খলা, সামাজিক শাসন, জাতীয়তা এবং মানবজাতির সমষ্টীকৃত জ্ঞানের সহিত যুক্তিবাদ এবং ব্যক্তিগত জ্ঞানের সামঞ্জস্য হয়, তিনি এরূপ ব্যবস্থা কবিয়াছিলেন । ব্যক্তিগত বিচার শক্তি এবং শাস্ত্র ও সামাজিক শাসন, বাজা এই উভয়েরই আবশ্যকতা অনুভব করিতেন। তজন্য এই উভয়েব মধ্যে সামঞ্জস্য সংস্থাপন করিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন। बिं এ বিষয়ে দুটি মূল কথা আছে ;-প্ৰথম, ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে কেবল যুক্তি বা ব্যক্তিগত জ্ঞান সত্যনির্ণয়ে সমর্থ নহে। সেই জন্য, রাজা ব্যক্তিগত জ্ঞান এবং শাস্ত্ৰ, এই উভয়ের সমন্বয়-পস্থা অবলম্বন করা আবশ্যক বলিতেন, এবং কাৰ্য্যতঃ ও তাহা করিয়াছিলেন। তিনি বিভিন্ন জাতির পক্ষে শাস্ত্রের শাসন আবশ্যক বলিয়া স্বীকার করিতেন । কিন্তু জ্ঞানালোচনা দ্বারা শাস্ত্রের প্রকৃত তাৎপৰ্য্য ব্যাখ্যা করা প্ৰয়োজনীয় বলিয়া মনে করিতেন । সেইজন্য তিনি স্বাভিমত ও শাস্ত্ৰ মিলাইয়া ব্যাখ্যা করিয়াছিলেন। তিনি হিন্দুশাস্ত্ৰ, খ্ৰীষ্টিয়ান শাস্ত্র এবং মুসলমান শাস্ত্রের জ্ঞানসঙ্গত ব্যাখ্যা করিয়া গিয়াছেন। তিনি শাস্ত্রগুলিকে বিভিন্ন জাতির পক্ষে বিধান বলিয়াও স্বীকার করিতেন। যেমন, খ্ৰীষ্টিয়ান বিধান, মীহুদী বিধান এবং হিন্দুশাস্ত্রের বিধান। কিন্তু তিনি কখনও অলৌকিকভাবে বিধান স্বীকার করেন নাই। তিনি মনে করিতেন যে, প্ৰচলিত শাস্ত্রগুলি মানবেতিহাসে স্বাভাবিকরূপে উৎপন্ন হইয়াছে। শাস্ত্ৰ সকলের উৎপত্তি পরমেশ্বরের সাধারণ বিধাতৃত্বের অন্তৰ্গত। এতদ্ভিন্ন, এই সকল শাস্ত্ৰ-ভাণ্ডারে সাধুপুরুষ O 38