পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৯৪ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত ও মহাপুরুষদিগের আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতারূপ রত্ননিচয় সঞ্চিত হইয়া রহিয়াছে । শাস্ত্রের মধ্যে মানবজাতির সমষ্টীকৃত জ্ঞান বৰ্ত্তমান। সুতরাং শাস্ত্রের শাসন (Authority) অগ্রাহ করা উচিত নহে । রাজা যখন খ্ৰীষ্টীয় শাস্ত্রের ভিত্তির উপরে, খ্ৰীষ্টিয়ান ধৰ্ম্মের বিশুদ্ধতা পুনরুদ্ধার করিবার জন্য লেখনী চালনা করিয়াছেন, তখন তিনি ঈশ্বরপ্রেরিত মহাপুরুষ ( প্ৰফেটু ) দিগের অস্তিত্ব স্বীকার করিয়াছেন এবং উক্ত ধৰ্ম্মকে পরমেশ্বরের বিশেষ বিধান বলিয়াছেন। তিনি যখন হিন্দুশাস্ত্রের ভিত্তির উপরে, বিশুদ্ধ হিন্দুধৰ্ম্মের পুনরুদ্ধারের জন্য চেষ্টা করিয়াছেন, তখন তিনি ঋষিদিগের যোগিলব্ধ সত্য মানিয়াছেন। ঋষিরা যোগযুক্ত অবস্থায় আধ্যাত্মিক সত্য লাভ করিতেন, ইহা তিনি স্বীকার করিয়াছেন । খ্ৰীষ্টীয় এবং হিন্দুশাস্ত্রের ভিত্তির উপর দণ্ডায়মান হইয়া তিনি এই সকল কথা স্বীকার করিয়াছেন। কিন্তু এখানে ইহা বিশেষরূপে বলা আবশ্যক যে, যখন তিনি খ্ৰীষ্টীয় শাস্ত্ৰ-বিষয়ে ঈশ্বরপ্রেরিত প্রফেটু এবং বিশেষ বিধান স্বীকার করিয়া লইতেছেন, তখনও তিনি এইগুলি অলৌকিক ভাবে গ্ৰহণ করেন নাই। তাহার নিকটে উহা সকলই স্বাভাবিক । ‘র্তাহার মতে মানবেতিহাসে মহাপুরুষেরা স্বাভাবিকভাবে সত্য লাভ করিয়াছেন এবং উহা স্বাভাবিকভাবে প্রচার করিয়াছেন । ঐ সকল সত্য, সময়ে, জাতীয় বা সাম্প্রদায়িক শাস্ত্রের আকার ধারণ করিয়াছে । এ সকলই পরমেশ্বরের সাধারণ বিধাতুত্বের অন্তর্গত। অলৌকিক বা অপ্ৰাকৃতিক ভাবে না হইলেও এই সকল সত্য যথার্থই পরমেশ্বরের বিধান। রাজা কি ভাবে শাস্ত্ৰ স্বীকার করিতেন রাজা কি ভাবে বিশ্বাস করিতেন যে, ঋষিরা যোগযুক্ত হইয়া সত্যলাভ করিয়াছিলেন? ইহাতে কিছু অলৌকিক আছে বলিয়া তিনি মনে