পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা রামমোহন রায়ের ধৰ্ম্মবিষয়ক মত &s সার্বভৌমিকতা ও জাতীয়তা যাহাতে লোকের মঙ্গল হয়, তাহা সার্বভৌমিক হইলেও উহাকে জাতীয় আকারে পরিণত করিয়া কাৰ্য্য করা আবশ্যক । কেবল সার্বভৌমিকতা শক্তিহীন । আবার জাতীয় সঙ্কীর্ণতাও অনিষ্টকর। জাতীয় সঙ্কীর্ণতা বিশ্বজনীন ভ্ৰাতৃভাবের বিরোধী। উহা অনেক সময়ে উন্নতির প্ৰতিকুল। সুতরাং রাজার প্রণালী অনুসারে জাতীয়ভাবে সার্বভৌমিক, কিংবা সার্বভৌমিক ভাবে জাতীয় হওয়াই আবশ্যক। এ বিষয়েও হিগেল প্রচারিত সমাজতত্ত্ব এবং ক্রমবিকাশবাদমূলক সমাজতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতগণের সহিত রাজার এক মত। বৰ্ত্তমান সময়ের সমাজতত্ত্বের মূলসূত্র, রাজা পরিষ্কাররূপে বহু পূর্বে বুঝিতে পারিয়াছিলেন, ইহা সামান্য বিস্ময়কর নহে । তহ ফাতুল মওয়াহিদ্দীন পুস্তক প্ৰকাশের পরবর্তী সময়ে দুইটি বিষয়ে কিরূপে রাজার মানসিক বিকাশ হইয়াছিল, আমরা তাহা প্ৰদৰ্শন করিলাম। আর দুইটি বিষয়ে তাহার মানসিক বিকাশ দেখাইলেই, এ বিষয়টির আলোচনা শেষ হয় । আত্মজ্ঞানের মধ্য দিয়া ব্ৰহ্মজ্ঞানলাভ “তহ ফাতুল মওয়াহিদ্দীন” গ্রন্থে রাজা পরমেশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ বা পরমেশ্বর সম্বন্ধীয় জ্ঞান বিষয়ে কয়েকটি কথা বলিয়াছেন। সেগুলি ইংলণ্ডীয় ডীয়িষ্টদিগের অনুরূপ। যেমন, পরমেশ্বরকে স্রষ্টা ও বিধাতা বলিয়া বিশ্বজনীন বিশ্বাস। এই বিশ্বজনীন বিশ্বাস কয়েকটি যুক্তিদ্বারা, সমৰ্থিত হইয়াছে। কাৰ্য্যকারণ সম্বন্ধীয় যুক্তি, কৌশল সম্বন্ধীয় যুক্তি, এবং কৰ্ত্তব্য বুদ্ধিমূলক যুক্তি, এই ত্ৰিবিধ যুক্তিদ্বারা পরমেশ্বর সম্বন্ধীয়