পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৯৮ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত বিশ্বজনীন বিশ্বাস দৃঢ়ীকৃত হইতেছে। এই সকল প্ৰমাণ ইংলণ্ডীয় ভীয়িষ্টদিগের একমাত্র অবলম্বন ছিল । রাজাও এই সকল প্ৰমাণ দিয়াছেন। আমাদের দেশে ন্যায়দর্শন সম্বন্ধীয় গ্রন্থে এই সকল প্ৰমাণ প্ৰাপ্ত হওয়া যায় । ‘কুসুমাঞ্জলি’ নামক ন্যায়দর্শন সম্বন্ধীয় গ্রন্থে, কাৰ্য্যকারণ সম্বন্ধীয় যুক্তি এবং নৈতিক যুক্তি ( Moral argument ) দ্বারা ঈশ্বর বিষয়ে মানবজাতির বিশ্বজনীন বিশ্বাস ব্যাখ্যা করা হইয়াছে। গঙ্গে শোপাধ্যায়ের “চিন্তামণি’ নামক গ্রন্থের অনুমান খণ্ডের অন্তৰ্গত ঈশ্বরানুমান বিষয়ক প্ৰস্তাবে, এই সকল যুক্তির বিস্তৃত ব্যাখ্যা আছে। কিন্তু ন্যায়াদি হিন্দুদর্শনে ঈশ্বরের অস্তিত্ব বিষয়ে, এই সকল প্ৰমাণ ভিন্ন অন্য প্ৰকাব প্ৰমাণ আছে। উহা শব্দপ্ৰমাণ বা বেদ প্ৰমাণ। খ্ৰীষ্টিয়ান ধৰ্ম্মতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতগণও র্তাহাদের গ্রন্থে ঐ রূপ দুই প্ৰকার প্রমাণের ব্যাখ্যা করিয়াছেন ; অর্থাৎ বহির্জগৎ ও মানবপ্রকৃতি হইতে পরমেশ্বরের অস্তিত্ব সম্বন্ধীয় প্ৰমাণ, এবং উক্ত বিষয়ে বাইবেল শাস্ত্রের প্রমাণ । কিন্তু রাজা রামমোহন রায় “তহ ফাতুল মওয়াহিদ্দীন” গ্রন্থে এ বিষয়ে শাস্ত্রকে প্রমাণস্বরূপ ७३१ द ब्रन नाई । • “তহ ফাতুল মওয়াহিদীন” গ্রন্থপ্রকাশের পরবত্তী সময়েও রাজা কখনই অলৌকিকভাবে শাস্ত্র বা আপ্তবাক্য বিশ্বাস করেন নাহি । তিনি চিরকালই বিশ্বাস করিতেন যে, বহির্জগৎ ও আত্মাতেই পরমেশ্বর র্তাহার জ্ঞান প্ৰকাশ করেন। জ্ঞানী বা সাধুপুরুষেরা যে আত্মজ্ঞান লাভ করেন, তাহা স্বাভাবিকরূপেই হয়, অলৌকিক ভাবে নহে। মানবাত্মার বিশেষ অবস্থায় পরমেশ্বর তাহাতে প্ৰতিভাত হন। একথা পূর্বেই বলা হইয়াছে। “তহঁফাতুল মওয়াহিদীন” গ্রন্থপ্রকাশের পরবর্তী সময়ে তিনি ঈশ্বর সম্বন্ধে একটি প্রমাণের ভিত্তি প্ৰদৰ্শন করিয়া গিয়াছেন। তিনি