পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত বুলবুলি ও ঘুড়ীর খেলা, কৃষ্ণযাত্রা ও কবির লড়াই, বীণ, সেতার ও তবলাতেই তখনকার কলিকাতার যুবাদিগের আমোদ ছিল, এবং র্তাহারা দোলের আবির খেলার ন্যায় নন্দোৎসবের গোলা হরিদ্রা লইয়া পথে-ঘাটে দলে দলে মাতামাতি করিয়া ফিরিতেন ও দেবকীপ্ৰসুতির প্রসাদ ঝালের লাড়ু ভক্তিপূর্বক খাইতেন। তথাপি অনেক রক্ষা এই ছিল যে, তখন পানিদোষ তাহার মধ্যে প্ৰবেশ করে নাই এবং ইউরোপদেশের বিজাতীয় সভ্যতার কলঙ্ক তাহাতে লিপ্ত হয় নাই । তখন তাহারা বড় বড় পূজাতে ইংরাজদিগকে বাটীতে নিমন্ত্ৰণ করিয়া খাওয়াইতেন বটে, কিন্তু আপনারা সেই আহারে তাহাদিগের সঙ্গে যোগ দিতে পারিতেন না । পৌত্তলিকতা ছাড়িতে চান না, কিন্তু আচার-ব্যবহার ক্ৰমে ক্রমে পরিবর্তন করিতে তখনকার লোকেরা বাধিত হইয়াছিলেন”A-ইত্যাদি। আন্দোলন রামমোহন রায় কলিকাতায় আসিয়া মাণিকতলায় লোয়ার সাৰ্বকিউল্লারু রোডে একটি বাটী ইংরেজী প্ৰণালীতে সজ্জিত করিয়া তথায় বাস করেন। উহা তাহার বৈমাত্রেয় ভ্ৰাতা রামলোচন রায় তাহার জন্য নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন । * বহুকাল হইতে র্তাহার আশা ছিল যে, বিষয়কৰ্ম্ম : হইতে অবসৃত হইয়া স্বদেশের উদ্ধারকল্পে জীবনসমর্পণ করিবেন। এতদিনে তাহার আশা পূর্ণ হইল। পৌত্তলিকতা ও সর্বপ্রকার উপধৰ্ম্মের বিরুদ্ধে রামমোহন রায়েব রণভেৰী এই স্থান হইতে উইলিয়ম কলেজের জন্য মুদ্রিত ও প্রকাশিত হইয়াছিল। কিন্তু উক্ত পুস্তক সকলের // রচনা অতি কদৰ্য্য এবং উহা সাধারণের মধ্যে প্রচলিত হয় নাই।) * ১১৩ নম্বর বাটী। উক্ত বাটীতে এখন পুলিস আছে। محم