পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬০৮ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত তদ্বিষয়ে সংশয় নাই। মানবপ্রকৃতি বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তি মাত্ৰেই স্বীকার করিবেন যে, লোকে অনেক সময় আপনার মানসিক ভাব ও ইচ্ছানুরূপ অপর ব্যক্তির বাক্যের তাৎপৰ্য্য গ্ৰহণ করিয়া থাকে। কুমারী কাপেণ্টারের সাক্ষীর পক্ষেও সেই প্রকার হওয়াই সম্ভব। আমাদিগের বিশ্বাস এই যে, খ্ৰীষ্টের জীবন ও তঁাহার কাৰ্য্যাদি সম্বন্ধে বাইবেল শাস্ত্রানুসারে কিরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সঙ্গত, তাহাই তিনি ব্যক্তি করিয়াছিলেন। লোকে বুঝিতে না পারিয়া সেইগুলিকে তঁহার নিজের বিশ্বাস বলিয়া স্থিরনিশ্চয় করিয়াছে । ভারতবর্ষে অবস্থিতি কালে তিনি খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম বিষয়ে, যে সকল পুস্তক প্ৰকাশ করিয়াছিলেন, তাহার কোন কোন স্থান পাঠ করিলে বোধ হয়, যেন তিনি খ্রীষ্টের অলৌকিক ल्फूि', মৃত্যুর পরে তঁাহার পুনরুত্থান প্ৰভৃতি বাইবেল।বাণিত বিষয়ে বিশ্বাস প্ৰকাশ করিতেছেন। কিন্তু আমরা পূব্বেই প্ৰতিপন্ন করিয়াছি যে, তাহার অভিপ্ৰায় স্বতন্ত্র ছিল । তিনি শাস্ত্রের প্রকৃত তাৎপৰ্য্য প্ৰদৰ্শন করিতেই প্ৰয়াস পাইয়াছিলেন । ভট্টাচাৰ্য্যের সহিত বিচারপুস্তকে একস্থলে ভট্টাচাৰ্য্য জিজ্ঞাসা করিতেছেন যে, “যে শাস্ত্রপ্রমাণে ব্ৰহ্মকে মান, সেই শাস্ত্ৰ প্ৰমাণে দেবতাদিগকে কেন না মান ?” রামমোহন রায় ইহার উত্তবে বলিতেছেন যে,-“ব্ৰহ্মাবিষ্ণু,মহেশাদিদেবতা ভূতজাতিয়ঃ” ইত্যাদি শাস্ত্রীয় বচনাত্নসারে তিনি দেবতাদিগের অস্তিত্ব মানিয়াছেন, এবং তঁহাদিগকে জন্ম ও মৃত্যুর অধীন বলিয়া স্বীকার করেন । * এস্থলে কে বলিবেন যে, রামমোহন রায় বাস্তবিক ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু, শিব প্রভৃতি দেবতার সত্তায় বিশ্বাস করিতেন ? তাহার বাক্যের প্রকৃত তাৎপৰ্য্য এই মাত্র যে, শাস্ত্রের rth-hair, ---arm- ------ حصح۔ -gru

  • እ› ጓ፡ Gፃጓ |