পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা রামমোহন রায়ের ধৰ্ম্মবিষয়ক মত VS a উপরি উদ্ধৃত কয়েক পংক্তির সারমর্ম এই ;-আমি বুঝিতে পারিয়াছি যে, রামমোহন রায় যে, বেদকে অভ্রান্তশাস্ত্ৰ মনে করেন। বলিয়া এই সমাজ অর্থাৎ ব্ৰাহ্মসমাজ প্ৰতিষ্ঠা করিয়াছেন ও ইহার পরিচালনা কবিতেছেন, এমন নহে। বেদকে ঈশ্বরপ্রেরিত শাস্ত্ৰ বলিয়া তঁহার বিশ্বাস না থাকিলেও পৌত্তলিকতা বিনাশের জন্য উহাকে উপায়স্বরূপ মনে করেন বলিয়া তিনি ঐ প্রকার করিতেছেন। যাহা হউক, সরলভাবে বলিতে গেলে অবশ্য বলিতে হয় যে, কিছু দিন হইতে আমার মনে এই বিশ্বাস জন্মিায়াছে যে, তিনি ইউনিটেরিয়ান খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম প্রচার কায্যের সহায়তাও ঐ ভাবে করিয়াছেন। অর্থাৎ সুসমাচার সকলকে ( Gospels ) ঈশ্বপ প্ৰেবিত শাস্ত্ৰ বলিয়া তাহার বিশ্বাস না। থাকিলেও পরমেশ্বর সম্বন্ধীয় বিশুদ্ধ ও প্রকৃত জ্ঞান প্রচারের জন্য তিনি ঐ প্রকার করিতেছেন। 婚 “তহ ফাতুল মওয়াহিদীন” গ্রন্থ প্রকাশের পবিবত্তী সময়ে রাজা কি ভাবে শাস্ত্ৰে বিশ্বাস করিতেন, তাহা আমরা পূর্ব অধ্যায়ে বলিয়াছি। রাজা বিশ্বাস করিতেন যে, পরমেশ্বর মান বের জ্ঞান ও বিবেকে বা মধ্য দিয়া সত্য প্ৰকাশ করেন । ধৰ্ম্ম প্ৰবৰ্ত্তক মহাপুরুষগণের জ্ঞান ও বিবেকের মধ্য দিয়া পরমেশ্বর যে সকল সত্য প্ৰকাশ করিয়াছেন, তাহাই প্ৰচলিত শাস্ত্ৰ সকলে দেখিতে পাওয়া যায় । রাজা রামমোহন রায়ের ধৰ্ম্মমত বিষয়ে আমরা যাহা বলিলাম, পরিশেষে আতি সংক্ষেপে তাহার পুনরালোচন করিয়া, আমরা এই প্ৰস্তাবের উপসংহার করিতেছি। প্রথমতঃ, পূর্ব অধ্যায়ে “তহ ফাতুল মওয়াহিদীন” গ্রন্থের সারমর্ম ব্যাখ্যা করিতে গিয়া আমরা প্ৰদৰ্শন করিয়াছি যে, রাজা কোন সাম্প্রদায়িক শাস্ত্ৰকে অভ্ৰান্ত আপ্তবাক্য বলিয়া, বিশ্বাস করিতেন না । অথচ মানবের জ্ঞান ও বিবেকের মধ্য দিয়া