পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২৪ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়েব জীবনচরিত যুক্তির সামঞ্জস্য করিয়া কাৰ্য্য কবিবে। এই শাস্ত্ৰ যে অলৌকিকভাবে, ঈশ্বরাদেশে মনুষ্য প্ৰাপ্ত হইয়াছে, ইহা তিনি স্বীকার করিতেন না। তিনি অপ্ৰাকৃতিক ও অলৌকিক বিষয় কিছুই স্বীকার করিতেন না । তবে তিনি " কি ভাবে শাস্ত্ৰ মানিতেন ? তাহার মতে মানবসমষ্টির একত্রীভূত জ্ঞানেব মধ্য দিয়া ঈশ্বরের সত্য মানবেতিহাসে প্ৰকাশিত হইয়া থাকে । ইহাই তিনি স্বীকার করিতেন । তিনি এই ভাবেই শাস্ত্ৰ মানিতেন। বিভিন্ন যুগ ও জাতিব পক্ষে, বিভিন্ন শাস্ত্র পরমেশ্বরের বিধান বলিয়া মনে করিতেন । যুক্তি দ্বাবা মিলাইয়া লহয়। সাময়িক প্ৰয়োজন অনুসাবে শাস্ত্রে বা ব্যাখ্যা করা ও তদনুসারে সমাজের সংস্কার করা, আবশ্যক বলিয়া মনে করিতেন । মূলশাস্ত্রের পরবর্তী শাখা-প্ৰশাখা বিষয়ে রাজার মত বেদ, বাইবেল ও কোরাণ, এই তিন প্রধান শাস্ত্ৰ হইতে, পরবত্তী সময়ে শাখা-প্ৰশাখাস্বরূপ অনেক শাস্ত্ৰ প্ৰকাশ হইয়াছে । রাজা বলেন, এই সকল পরবত্তী শাস্ত্ৰে অনেক পরিমাণে ধৰ্ম্মমত বিকৃত আকার ধারণ কবিয়াছো-অনেক কুসংস্কাব প্রচারিত হইয়াছে । স্মৃতি, পুবাণ, তন্ত্র, ংগ্ৰহাদি বেদের * {{gï orio | Church Councils, Creeds and Articles, Theological dogmas, Commentaries, খৃষ্টীয় ** - সমাজে এই সকল, বাইবেলেব পরবত্তী । এই সকলে খ্ৰীষ্টিয়ান ধৰ্ম্মেব মতকে অনেক পরিমাণে বিকৃত করিয়াছে, অনেক কুসংস্কার সৃষ্টি করিয়াছে। মুসলমানদিগের মধ্যে সরিন্নেৎ, হিদায়া, কোরাণের পরবত্তী। মুলশাস্ত্রের সহিত পরবত্তী শাস্ত্ৰ সকলের যতদূব ঐক্য আছে, ততদূর তাহা গ্ৰাহ্য। রাজার মতে, শাস্ত্রের এই সকল পরবত্তী শাখা-প্ৰশাখায়, কোন নূতন সত্য, কোন আধ্যাত্মিক আদর্শ সাধন বা সাধনপ্রণালী প্ৰাপ্ত