পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা রামমোহন রায়ের বিষয়ে আরও কয়েকঢ়ি কথা ৬২৫ হওয়া যায় না। প্ৰাচীন মূলশাস্ত্রের সহিত যতদূর তাহদের ঐক্য, ততদূর সে সকল মান্য। মূলশাস্ত্রের সহিত যেখানে পরবত্তী শাস্ত্রের। ፊ” অনৈক্য, সেখানে পরবত্তী শৈিস্ত্রর কথা অগ্ৰাহ। শাস্ত্ৰনির্ণয়ের নিয়ম স্মৃতি, পুরাণ ও তন্ত্রের বিষয়ে রাজা বলেন যে, এই সকল শাস্ত্রের কোন কথা বেদের বিরুদ্ধ হইলে তাহা পরিত্যাজ্য। অনেক পুরাণাদি ব্যাসের নামে প্রচলিত হইয়াছে। সে সকল একব্যক্তির রচিত হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু ব্যাস-রিচিত বলিয়া পুরাণ সকলকে মানিয়া লইলেও উহার মধ্যে, কোন শ্লোক প্ৰকৃত, এবং কোন শ্লোক প্ৰক্ষিপ্ত তাহা নিৰ্দ্ধারণ করিবার জন্য বিশেষ নিয়ম আছে। সে নিয়ম এই যে, যে তন্ত্র বা পুরাণের প্রসিদ্ধ টীকা নাই, কিম্বা যাহা শিষ্ট পরিগৃহীত বা সংগ্ৰহকার-ধূত নহে, তাহা গ্ৰাহ হইতে পারে না । ইহা রাজার নিজ-কৃত নিয়ম নহে। পণ্ডিতেরা বিচার-গ্রন্থে এই নিয়ম এবং ইহার অনুরূপ অন্যান্য নিয়মের অনুসরণ করিয়াছেন। খৃষ্টীয়ানদিগের ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ ঠিক আছে। তঁহাদের এরূপ কোন নিয়ম অবলম্বন করিবার अciअन नाशे । ভারতে ধৰ্ম্মের উন্নতি অষ্টাদশ শতাব্দীর স্বাধীন চিন্তাশীল, শাস্ত্ৰ অগ্রাহকারী বিশুদ্ধযুক্তিমাৰ্গাবলম্বী পণ্ডিতগণকে রাজা অতিক্রম করিয়াছিলেন। কিন্তু পরবত্তী শাস্ত্রে নূতন সত্য, ভাব বা আদর্শ কিছু নাই, রাজার একথা, ভ্ৰান্তিশূন্য বলিয়া বোধ হয় না। পরবত্তী শাস্ত্ৰে মত-বিকৃতি ও কুসংস্কার সৃষ্টি । করিয়াছে বটে, কিন্তু উন্নতিও অনেক হইয়াছে। বৈষ্ণব-বৈদাস্তিকদিগের 40