পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V8 o রাজা রামমোহন রায়ের ধৰ্ম্মবিষয়ক মত করিতেছে, তাহদের চিত্তেও উক্তরূপ একটি ভাবের আভাস আছে । রাজা একেবারে ধৰ্ম্মশূন্য লোকের কথাও উল্লেখ করিয়াছেন, যেমন, মাগদম্য এবং গেঞ্জিস্থার ( Genglish Khan) সৈন্যগণ। কিন্তু ইহা অবনতির ফলমাত্ৰ । আদিম অবস্থায় মানবজাতির ধৰ্ম্মভাব মোক্ষমূলর এ বিষয়ে বলেন যে, মানবজাতি প্রথমাবস্থায় প্রকৃতির মধ্যে দেবত্ব অনুভব করিয়াছিল । তিনি সপ্ৰমাণ করিয়াছেন যে, মানব জাতির প্রথমাবস্থাতেই পৰিমিত সৃষ্টপদার্থের মধ্যে অনন্তের সত্তা অনুভূত হইয়াছিল। হাৰ্বাট স্পেনসার বলেন যে, আদিম অবস্থায় মানবজাতি ভূত পূজা করিত বা করে । মোক্ষমূলর বলেন যে, মনুষ্যজাতি এই ভূত পূজার পূর্বেও প্রকৃতির মধ্যে অস্পষ্টভাবে অনন্তকে অনুভব করিত। মোক্ষমূলর প্রদর্শন করিয়াছেন যে, এই ভূত পূজার মধ্যেও আনস্তের পূজার অস্পষ্ট লক্ষণ প্ৰকাশ পায়। একেশ্বরবাদমূলক ধৰ্ম্ম এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ে তাহার বিভিন্ন আকার দ্বিতীয়ত: -এই সাৰ্ব্বভৌমিক ধৰ্ম্ম পরিস্ফুট হইলে উহা বিশুদ্ধ একেশ্বরবাদের আকার ধারণ করে ; মনুষ্য তখন পরমেশ্ববকে জগতেব স্ৰষ্টা ও বিধা তারূপে উপাসনা করিয়া থাকেন। এই একেশ্বরবাদ, প্ৰচলিত তিনটি প্রধান ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰে পরিস্ফুটভাবে প্ৰাপ্ত হওয়া যায়। হিন্দুজাতির বেদান্ত, শ্ৰীহুদি ও খৃষ্টীয়ানদিগের বাইবেল এবং মুসলমানদিগের কোরাণ • এই তিন ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰে একেশ্বরবাদ, জাতীয় ইতিহাসানুরূপ, জাতীয় আকারে বিকাশ প্ৰাপ্ত হইয়াছে। এই যে হিন্দু, খৃষ্টীয়ান ও মুসলমানধৰ্ম্মের