পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা রামমোহন রায়ের বিষয়ে আরও কয়েকটি কথা ৬৪৭ রূপকল্পনা বিষয়ে তিনটি পন্থা এই প্রকারে ঈশ্বরের নানা ভাব ও শক্তির বাহা আকার দিতে গিয়া হিন্দুশাস্ত্রে তিনটি পস্থা অবলম্বিত হইয়াছে। প্ৰথম, সাঙ্কেতিক ভাবে, পরমেশ্বরের গুণ ও শক্তি প্ৰকাশ করিবার জন্য, উপযুক্ত কৌশল করিয়া মূৰ্ত্তিকল্পনা । যেমন দুর্গামূৰ্ত্তি, জগদ্ধাত্রীমূৰ্ত্তি, जब्रश्ऊँौभूर्द्धि शेडJाति । দ্বিতীয়, ধ্যানযোগ ও সমাধির অবস্থায় মুনি-ঋষিরা আপনার অন্তরে যে সকল মূৰ্ত্তি দর্শন করিয়াছেন, স্তব, স্তোত্রে, ধ্যানের বর্ণনায়, এই সকল মূৰ্ত্তির কথা পাওয়া যায়। যেমন মহেশ্বরের রূপ, বিষ্ণুর রূপ, ব্ৰাহ্মী, বৈষ্ণবী, মাহেশ্বরী শক্তি রূপ ইত্যাদি। তৃতীয়, অবতারদের লীলা । এই সম্বন্ধে নানারূপ প্ৰতিমূৰ্ত্তি, যেমন রাম, কৃষ্ণাদি বিষ্ণুব অবতাবদিগের প্রতিমূৰ্ত্তি । उादडलूद মানুষ্যোব পরিত্রাণের জন্য ভগবানের দেহধারণ । ইহার দুইটি প্রধান দৃষ্টান্ত। প্ৰচলিত খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মে যীশুখ্ৰীষ্ট অবতার এবং প্রচলিত তিন্দুধর্মে রাম, কৃষ্ণাদি ভগবানের অবতার। অবতারবাদের প্রকারভেদ এই অবতার বাদের প্রকারভেদ আছে । কোন কোন সম্প্রদায় কৃত্রিম মূৰ্ত্তি অবলম্বন করিয়া অবতারের পূজা করেন। যেমন রোমানক্যাথলিক খ্ৰীষ্ট্ৰীয়ান এবং পৌত্তলিক হিন্দুগণ। নিম্নতম শ্রেণীর অবতারবাদীরা পরমেশ্বরের এক চিরস্থায়ী প্ৰকৃত বিগ্ৰহ স্বীকার করেন । যেমন, গৌরাঙ্গীয় বৈষ্ণবগণ ।