পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৫৬ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত সাধন, লোকশিক্ষার প্রধান বিষয় । রাজার মতে গণিত ও পদার্থবিদ্যা এবং জনহিতকর শিল্প কাৰ্য্য সকলকে শিক্ষা দেওয়া উচিত । এদেশে সৰ্ব্বসাধারণ লোককে কেবল পাশী ও সংস্কৃত ভাষায় শিক্ষা না দিয়া যাহাতে ইংরেজী শিক্ষা প্ৰচলিত হয় এবং ছাত্রদি ১ কে ইয়োরোপীয় DBD SDDDS DBBB OBBDSS SBDDD DS BD DDBB BBBDD BDB BDBS ছিলেন। তিনি ইয়োরোপীয় শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক শিক্ষার পক্ষপাতী ছিলেন বলিয়া, সংস্কৃত শিক্ষার বিরোধী ছিলেন না । রাজা গভৰ্ণমেণ্টকে পরামর্শ দিয়া ছিলেন যে, চতুষ্পাঠী সকলে অর্থসাহায্য করিয়া সংস্কৃত শিক্ষ। বিষয়ে উৎসাহ দান করেন । এতদিনের পর, সার চার্লস ইলিয়টের শাসনকালে, রাজার মতানুসারে কার্য্য হইতে আৰম্ভ হইয়াছে । এখন । অনেক চতুষ্পাঠীতে অর্থসাহায্য প্রদত্ত হইয়া থাকে। উৎকোচ গ্ৰহণাদি নিবারণের উপায়। হিন্দুসমাজের নৈতিক ও সামাজিক সংস্কার বিষয়ে রাজা যাহা বলিয়াছেন, আমরা নিম্নে সংক্ষেপে তাহার উল্লেখ করিতেছি । প্রথম ;-দেশের লোকের নীতি ও জ্ঞানের উন্নতি। রাজনৈতিক উন্নতি অপেক্ষ। তিনি নৈতিক ও বুদ্ধিগত উন্নতি অধিকতর প্রয়োজনীয় বলিয়া মনে করিতেন। নৈতিক উন্নতি সম্বন্ধে তিনি মনে করিতেন যে, বহু বংশপরম্পরা স্বেচ্ছাচারী গবৰ্ণমেণ্টের অধীনে বাস করিয়া এবং দাসত্ব ও অত্যাচার সহ করিয়া হিন্দুদিগের মধ্যে অনেক পরিমাণে নৈতিক দুৰ্গতি উপস্থিত হইয়াছে। রাজা কতকগুলি নীতিবিরুদ্ধ কাৰ্য্যের দৃষ্টান্ত দিয়াছেন ; যেমন, রাজ কৰ্ম্মচারী ও জমীদারদিগের কৰ্ম্মচারীদিগের মধ্যে উৎকোচ গ্রহণ ও অন্যায়পূর্বক দুর্বল প্ৰজার অর্থশোষণ। রাজা, উৎকোচ গ্ৰহণাদি নিবারিত হইবার উপায় সম্বন্ধে বলিয়াছেন যে,