পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৭৪ মহাত্ম রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত ছিলেন, তাহারা কাৰ্য্যনিৰ্বাহকদিগের অধীনতা স্বীকার করিলেন । ইহার এই ফল হইল যে, আর শক্তির বিভাগ থাকিল না । একস্থানে সমস্ত শক্তি বদ্ধ হইল ; রাজারাই সর্বেসর্বা হইলেন। ব্ৰাহ্মণের ব্যবস্থা দিতেন বটে, কিন্তু তঁহাদিগের স্বাধীনতা চলিয়া গিয়াছিল। মুসলমানেরা ভারতবর্ষ জয় করিবার পূৰ্বে ঐ প্রকারভাবে রাজপুতেরা প্ৰায় সহস্ৰ বৎসর এদেশে একাধিপত্য করিয়াছিলেন । রাজার মতানুসারে এ বিষয়ে ইহাই প্ৰকৃত ইতিহাস। অরাজকতা ও রাজবিদ্রোহ কোনও রাজ্যে অরাজকতা বা রাজবিপ্লব উপস্থিত হইলে, ইহাই প্ৰকাশ পায় যে, রাজ্যে মুখত প্ৰবল এবং সভ্যতার যথেষ্ট উন্নতি হয় নাই। কোন রাজ্যে সভ্যতা ও জ্ঞানের যত উন্নতি হয়, সেই পরিমাণে, রাজশাসনের স্থায়িত্ব সম্ভব হইয়া থাকে। রাজা বলেন যে, প্ৰজাবৰ্গ যদি সুসভ্য ও সুশিক্ষিত হন, তাহা হইলে তঁাহারা গভৰ্ণমেণ্টের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ উপস্থিত করিতে পারেন না । কিন্তু রাজা বামমোহন রায় ইহাও বলিয়াছেন যে, সকল স্থলে একথা খাটে না। যদি রাজা বা রাজপুরুষগণ তঁহাদের রাজশক্তির অত্যন্ত অপব্যবহার করেন, তাহা হইলে বিদ্রোহের नgदन थांक । যুক্তরাজ্যের কল্যাণ কিসে হয় ? যেস্থলে ভিন্ন ভিন্ন রাজ্য একত্র হইয়া একটি রাজ্যে পরিণত হয়, ও সেই রাজ্যগুলির উপর এক সাধারণ রাজশাসন বিস্তারিত থাকে, রাজার মতে সেস্থলে সেই যুক্তরাজ্যের একতার উপরেই রাজ্যের কল্যাণ নির্ভর করে। যেমন আমেরিকার যুক্তরাজ্য। উহার বিভিন্ন প্ৰদেশ সকলের