পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৮৪ : মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত করা-নিৰ্দ্ধারণ, বিভিন্ন প্ৰকার ভূমির বিভাগ এবং অন্যান্য বিষয়ে যে সকল বন্দোবস্ত হইয়াছে, তাহ মোগলদিগের রাজত্বকালেরই সদৃশ। এখন ভূমির উপরে রাজার স্বত্ব অধিকতর স্পষ্ট করিয়া বলা হইয়াছে। মান্দ্ৰাজ এবং উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে, খাসমহল সকলে কৃষকেরা নিজেই গবৰ্ণমেণ্টকে খাজনা দেয়। প্ৰজাদিগের খাজনা ক্রমশঃ বৃদ্ধি করা হইয়া থাকে। বাঙ্গালা, বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশে জমিদারদিগের সহিত গবৰ্ণমেণ্টের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হইয়াছে ; ভূমির উপরে জমিদারের স্বত্ব স্বীকার করা হইয়াছে । জমিদার গবর্ণমেণ্টকে যে রাজস্ব দিবেন, তাহা চিরদিনের জন্য স্থির করিয়া দেওয়া হইয়াছে। কিন্তু প্ৰজাদিগকে জমিদারের অনুগ্রহের উপর নির্ভর কবিতে হয় ; ভূমির উপরে তাহদের স্বত্বাধিকার নাই ।” খোদকাস্ত রায় তদিগের ও ভূমির উপর স্বত্ব নাই । রাজা বলেন, ইহা ठाडJरु अ9]] ट्ऊँ १igछ । ভূমির উপর রাজার দখলীস্বত্ব এবিষয়ে রাজা প্রামমোহন রায় কয়েকটি কথা বলিয়াছেন । প্রথম, রাজা বিজয়ী বলিয়া ভূমির উপর রাজার স্বত্বাধিকার অবশ্য স্বীকার করিতে হইবে । দ্বিতীয়, ভূমির উপরে প্রজাদিগের স্বত্ব থাকা উচিত। বিশেষতঃ খোদকাস্ত রায়তদিগের ভূমির উপরে স্বত্ব থাকা একান্ত ন্যায়সঙ্গত । তাহাদিগের স্বত্বাধিকার স্বীকার করা উচিত । মুসলমানদিগের সময়েও খোদকাস্ত রায়তদিগের ভূমির উপরে স্বত্ব স্বীকার করা হইত। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তদ্বারা কি উপকার হইয়াছে ? রাজা সপ্ৰমাণ করিয়াছেন যে, জমিদারদিগের সহিত গবৰ্ণমেণ্টের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হওয়াতে রাজ্যের বিশেষ উপকার হইয়াছে। প্রথম, পতিত, জঙ্গলপূর্ণ, অনাবাদি ভূমি সকলের কৃষি কাৰ্য্য আরম্ভ হইয়াছে।