পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট १३१ ইহাও ছিল যে, হিন্দু ও মুসলমান, গ্র্যাণ্ড জুরিতে আসন প্ৰাপ্ত হইয়া, তঁহাদূের সমধৰ্ম্মাবলম্বীদিগের বিচার করিতে পরিবেন না। ১৮২৯ সালের ৫ই জুন। এই আবেদন পত্র পার্লামেণ্টে উপস্থিত कब्र। श् । রামমোহন রায়ের দৈনিক জীবন জি, এন, ঠাকুর মহাশয় তাহার পিতার নিকট রামমোহন রায়ের দৈনিক জীবন-সম্বন্ধে যাহা শুনিয়াছিলেন, একখানি পত্রে তাহা কুমারী কলেটুকে লিথিয়া পাঠান। আমরা তাহা হইতে কয়েকটি কথা গ্ৰহণ করিলাম। “স্মানের পূর্বে, দুই জন স্থূলকায় ব্যক্তি, রামমোহন রায়কে তৈল মর্দন করাইতেন । এই সময় রাজা মুগ্ধবোধ ব্যাকরণের সুত্র সকল । প্ৰতিদিন পরে পরে আবৃত্তি করিতেন। স্নানের পর, তিনি ঘরের মোজে তে পা গুটিাই য়া বসিয়া দেশীয় প্ৰণালীতে আহার করিতেন । র্তাহার সম্মুখে ভিন্ন ভিন্ন পাত্রে দেশীয় খাদ্য সকল থাকিত। এই সময় ভাত ও মৎস্য, এবং সম্ভবত: দুগ্ধ আহার করিতেন। পূর্বাহ ও সায়াহ্নভোজনের মধ্যে আর আহার করিতেন না। তিনি বেলা দুইটা * র্য্যন্ত কাজ করিতেন। অপরাহ্রে ইয়োরোপীয় বন্ধুদিগের সহিত দেখা করিতে যাইতেন । ৭টা ও ৮টার মধ্যে সায়াহ্নভোজন করিতেন। কিস্তু খাদ্যদ্রব্য সকল মুসলমান প্ৰণালীতে রন্ধন হইত। পোলাও, কোপ্তা, কোম্মা ইত্যাদি। আহার করিতেন । রাজা রামমোহন রায়ের ভৃত্য রামহরি দাস বিলাত হইতে দেশে ফিরিয়া আসিয়া বৰ্দ্ধমানের মহারাজার দেলখোসবাগের কৰ্ত্তারূপে (Head Gardener) নিযুক্ত হন । রামহরি দাস এক দিবস মহারাজার সভাপণ্ডিত স্বৰ্গীয় তারকনাথ তত্ত্বর ত্ব মহাশয়ের বাটীতে উপস্থিত হইলেন। তথায়-- আসিয়া দেখিলেন যে, গৃহপ্ৰাচীরে রামমোহন রায়ের একখানি ছবি