পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট ves) শামি অনেক সময়ে সেখানে যাইতাম। আমি নিচুফল অতিশয় ভালবাসিতামু। আমি সেখানে অনেক সময়ে নিচুফল খাইতে যাইতাম । যখন রাজা দেখিতেন যে, আমি বৈশাখ বা জ্যৈষ্ঠ মাসের ভীষণ রৌদ্রতাপে উদ্যানে ভ্ৰমণ করিতেছি, তিনি আমাকে ডাকিয়া বলিতেন, “বেরাদার এখানে এস, তুমি যত নিচু চাও, আমি দিব। রৌদ্রে বেড়াইতেছ। কেন ?” তখন তিনি মালীকে আমার জন্য সুপক্ক নিচু সকল আনিতে বলিতেন। “আমার স্মরণ হয়, রাজা একবার আমাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, আমি মাংসাহার করি কি না ? তিনি আমাকে বলিলেন যে, তুমি, তোমার পিতাকে বলিও যে, প্ৰতিদিন তোমার আহারের সময়ে তোমাকে কিছু মাংস দেওয়া হয়। রাজা বলিতেন যে, বৃক্ষমূলে জলসেচন করা আবশ্যক ; নতুবা বৃক্ষ যথোপযুক্তরূপ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় না। এই দেহের সম্বন্ধেও সেই প্ৰকার ; বাল্যকাল হইতেই দেহকে উপযুক্ত আহার দেওয়া প্ৰয়োজন । রাজা আপনার শরীরকে অত্যন্ত যত্ন করিতেন। শরীরকে • পরমেশ্বরের মূল্যবান দান বলিয়া মনে করিতেন। “সকল মহাপুরুষের ন্যায়, রাজা বামমোহন রায়ও স্বভাবতঃ অত্যন্ত বিনীত ছিলেন । অসংখ্য লোক তাহার সহিত দেখা করিতে আসিতেন । অনেকে তঁাহার সহিত ধৰ্ম্মবিষয়ে তর্ক করিতে আসিতেন । কিন্তু তাহার সহিত তর্ক করিবার উপযুক্ত ব্যক্তি প্ৰায় কেহই আসিতেন না । তঁাহার। র্তাহার সহিত বিশৃঙ্খল ও অসম্বদ্ধ কথা সকল বলিয়া তর্ক করিতেন। কিন্তু তিনি কাহাকেও কখনও চলিয়া যাইতে বলিতে পারিতেন না । তিনি সকলের কথা ভদ্রভাবে মনোযোগপুৰ্বক শুনিতেন। যখন তিনি দেখিতেন যে, তাহার প্রতিদ্বন্দ্বী বড়ই নিৰ্ব্বোধের মত কথা বলিতেছেন, যখন উহা র্তাহার। আর ভাল লাগিত না, তখন তিনি তঁহাকে বলিতেন, “আপনি কি বলেন, এখন বাগানে একটু বেড়াইলে হয় না ? তখন তাহার সহিত