পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

G8 মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত ষখন আমার এই সামান্য চেষ্টা লোকে ন্যায়দৃষ্টিতে দেখিবেন, হয় ত কৃতজ্ঞতার সহিত স্বীকার করিবেন। লোকে যাহাই কেন বলুন না, অন্ততঃ এই সুখ হইতে আমাকে কেহ বঞ্চিত করিতে পরিবেন না যে, আমার আন্তরিক অভিপ্ৰায় সেই পুরুষের নিকট গ্রাহ, যিনি গোপনে দর্শন করিয়া প্ৰকাশ্যে পুরস্কৃত করেন।” মহাত্মন! তোমার ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হইয়াছে। যাহারা তোমার প্রতি খড়গহস্ত হইয়াছিলেন, এক্ষণে তাহাদেরই সন্তান-সন্ততিরা তোমাকে হৃদয়ের গভীবতম প্ৰদেশ হইতে কৃতজ্ঞতা উপহার অৰ্পণ করিতেছেন ! উপরি-উক্ত পুস্তকের ভূমিকাতে তিনি আরও বলিতেছেন যে, বেদান্তসূত্রের অনুবাদ প্ৰকাশ করিবার তাহার বিশেষ অভিপ্ৰায় এই যে, তাহার স্বদেশবাসিগণ র্তাহাদেব শাস্ত্রের প্রকৃত তাৎপৰ্য্য বুঝিতে পারেন এবং তদ্বারা প্ৰকৃতির পরমেশ্বরের একত্ব ও সর্বব্যাপিত্ব চিন্তা করিতে পারেন। তদ্ভিন্ন আরও অভিপ্ৰায় এই যে, ইয়োরোপীয়েরা বুঝিতে পারেন যে, যে সকল কুসংস্কারমূলক অনুষ্ঠান হিন্দুধৰ্ম্মকে বিকৃত করিয়াছে, তাহার সহিত উহার বিশুদ্ধ আদেশনিচয়ের কোন সম্বন্ধ নাই। সমস্ত হিন্দুশাস্ত্ৰ একমাত্র পরব্রহ্মের উপাসনা প্ৰতিপন্ন করিতেছে, সকল বিচারগ্রস্থে ইহাই প্ৰদৰ্শন করা রামমোহন রায়ের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল । তিনি লিখিয়াছেন ;- “উপনিষদের দ্বারা ব্যক্ত হইবেক যে, পরমেশ্বর একমাত্র, সর্বব্যাপী, আমাদিগের ইন্দ্ৰিয়ের অগোচর হয়েন, তঁহারই উপাসনা প্ৰধান এবং মুক্তির প্ৰতি কারণ হয়, আর নামরূপ সকল মায়ার কাৰ্য্য হয়। যদি কহ, পুরাণ এবং তন্ত্ৰাদি শাস্ত্ৰেতে যে সকল দেবতাদিগের উপাসনা লিখিয়াছেন, সে সকল কি প্ৰমাণ ? আর পুরাণ এবং তন্ত্ৰাদি কি শাস্ত্ৰ নহে? তাহার উত্তর এই যে, পুরাণ এবং তন্ত্রাদি অবশ্য শাস্ত্ৰ বটেন, যেহেতু পুরাণ এবং তন্ত্রাদিতেও পরমাত্মাকে এক এবং বুদ্ধিমানের অগোচর করিয়া পুনঃপুনঃ