পাতা:মহাপৃথিবী - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনোবীজ জামিরের ঘন বন অইখানে রচেছিলো কারা ? এইখানে লাগে নাই মানুষের হাত । দিনের বেলায় যেই সমারূঢ় চিন্তার আঘাত ইস্পাতের আশা গড়ে—সেই সব সমুজ্জ্বল বিবরণ ছাড়া যেন আর নেই কিছু পৃথিবীতে : এই কথা ভেবে যাহার রয়েছে ঘুমে তুলোর বালিশে মাথা গুজে – তাহারা মৃত্যুর পর জামিরের বনে জ্যোৎস্ন' পাবে নাকে খুজে , বধির ইস্পাত-খড়গ তাহাদের কোলে তুলে নেবে। সেই মুখ এখনও দিনের আলে। কোলে নিয়ে করিতেছে খেলা ৷ যেন কোনো অসংগতি নেই—সব হালভাঙী জাহাজের মতে সমন্বয় সাগরে অনেক রৌদ্র আছে ব’লে –পরিব্যস্ত বন্দরের মতে মনে হয় যেন এই পৃথিবীকে ;--যেখানে অঙ্কুশ নেই তাকে অবহেলা করিবে সে আজো জানি ;–দিনশেষে বাজুড়ের-মতন-সঞ্চারে তারে আমি পাবো নাকে ;—-এই রাতে পেয়ারার ছায়ার ভতরে তারে নয়—স্নিগ্ধ সব ধানগন্ধী প্যাচাদের প্রেম মনে পড়ে । মৃত্যু এক শাস্ত খেত—সেইখানে পাবো নাকে৷ তারে । পৃথিবীর অলিগলি বেয়ে আমি কত দিন চলিলাম । ঘুমালাম অন্ধকারে যখন বালিশে । নোনা ধরে নাকে যেই দেয়ালের ধূসর পালিশে চন্দ্রমল্লিকার বন দেখিলাম রহিয়াছে জ্যোৎস্নায় মিশে ।