পাতা:মহাপৃথিবী - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিচায়ক মাঝে-মাঝে মনে হয় এ-জীবন হংসীর মতন— হয়তো-বা কোনো-এক কৃপণের ঘরে ; প্রভাতে সোনার ডিম রেখে যায় খড়ের ভিতরে ; পরিচিত বিস্ময়ের অনুভবে ক্ৰমে-ক্রমে দৃঢ় হয় গৃহস্থের মন । তাই সে হংসীরে আর চায় নাকে দুপুরে নদীর ঢালু জলে নিজেকে বিম্বিত ক’রে ;–ক্রমে দূরে—দূরে হয়তো-বা মিশে যাবে অশিষ্ট মুকুরে : ছবির বইয়ের দেশে চিরকাল –কুর মায়াবীর জাদুবলে । তবুও হংসাঁই আভা —হয়তো-ব। পতঞ্জলি জানে। সোনায়-নিটোল-করা ডিম তার বিমর্ষ প্রসব । দুপুরে সূর্যের পানে বজের মতন কলরব কণ্ঠে তুলে ভেসে যায় অমেয় জলের অভিযানে । কেয়াফুলস্নিগ্ধ হাওয়া স্থির তুলাদণ্ড প্রদক্ষিণ ক’রে যায় ;–লোকসমাগমহীম, হিম কাস্তারের পার করে নাকে ভীতি আর মরণের অর্থ প্রত্যাহার : তবুও হংসীর পাখা তুষারের কোলাহলে আঁধারে উড্ডীন । তবুও হংসীর প্রিয় অলোকসামান্ত স্বর, শূন্যতার থেকে আমি ফেশে এইখানে প্রান্তরের অন্ধকারে দাড়ায়েছি এসে ; মধ্য নিশীথের এই আসন্ন তারকাদের সঙ্গ ভালোবেসে । মরখটে ঘোড়া ওই ঘাস খায়,—ঘাড়ে তার ঘায়ের উপরে বিনবিনে ডাশগুলো শিশিরের মতে শব্দ করে । এই স্থান, হ্রদ আর, বরফের মতে শাদ ঘোড়াদের তরে $ ግ