পাতা:মহাপৃথিবী - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছিলে। তবু একদিন ? রবে তবু একদিন ? হে কালপুরুষ, ধ্রুব, স্বাতী, শতভিষা, উচ্ছৃঙ্খল প্রবাহের মতে। যার তাহাদের দিশ৷ স্থির করে কর্ণধার ?—ভূতকে নিরস্ত করে প্রশাস্ত সরিষা । ভূপৃষ্ঠের অই দিকে—জানি আমি—আবার নতুন ব্যাবিলন উঠেছে অনেক দূর ;–শোনা যায় কনিশে সিংহের গর্জন । হয়তো-বা ধুলোসাৎ হ’য়ে গেছে এত রাতে ময়ূরবাহন । এই দিকে বিকলাঙ্গ নদীটির থেকে পাচ-সাত ধনু দূরে । মানুষ এখনও নীল, আদিম সাপুড়ে : রক্ত আর মৃত্যু ছাড়া কিছু পায় নাকে তার খনিজ, অমূল্য মাটি খুঁড়ে এই সব শেষ হ’য়ে যাবে তৰু একদিন ;–হয়তো-বা ক্রান্ত ইতিহাস শানিত সাপের মতো অন্ধকারে নিজেকে করেছে প্রায় গ্ৰাস । ক্রমে এক নিস্তব্ধতা : নীলাভ ঘাসের ফুলে স্বাক্টর বিন্যাস আমাদের হৃদয়কে ক্রমেই নীরব হ’তে বলে । যে-টেবিল শেষরাতে দোভাষীর—মাঝরাতে রাষ্ট্রভাষাভাষীর দখলে সেই সব বহু ভাষা শিখে তবু তারকার সস্তপ্ত অনলে হাতের আয়ুর রেখা আমাদের জলে আজো ভৌতিক মুখের মতন ; মাথার সকল চুল হ’য়ে যায় ধূসর–ধুসরতম শণ ; লোষ্ট্র, আমি, জীব তার নক্ষত্রের অনাদি বিবৰ্ণ বিবরণ বিদূষক বামনের মতো হেসে একবার চায় শুধু হৃদয় জুড়াতে । ফুরফুরে আগুনের থান তবু কাচিছাট। জামার মতন মুক্ত হাতে তাহার নগ্নতা ঘিরে জ’লে হায়—সে কোথাও পারে না দাড়াতে । 8 ワー