পাতা:মহাপৃথিবী - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিন সারাদিন ধানের বা কাস্তের শব্দ শোনা যায় । ধীর পদবিক্ষেপে কৃষকেরা হাটে । তাদের ছায়ার মতো শরীরের ফুয়ে শতাব্দীর ঘোর কাটে-কাটে । মাঝে-মাঝে দু-চারটে প্লেন চলে যায়। একভিড় হরিয়াল পাখি উড়ে গেলে মনে হয়, দুই পায়ে হেঁটে কত দূর যেতে পারে মানুষ একাকা । এসব ধারণা তবু মনের লঘুত । আকাশে রক্তিম হ’য়ে গেছে ; কামানের থেকে নয়, আজো এইখানে প্রকৃতি রয়েছে। রাত্রি তার অন্ধকার ঘুমাবার পথে আবার কুড়ায়ে পায় এক পৃথিবীর মেয়ে, ছেলে ; মানুষ ও মনীষীর রৌদ্রের দিন হৃদয়বিহীনভাবে শূন্ত হ’য়ে গেলে । সেই রাত্রি এসে গেছে ; সস্ততির জড়ায়ে গিয়েছে জ্ঞাতকুলশীল আর অজ্ঞাত ঋণে । - পারাবত-পক্ষ-ধ্বনি সায়াহ্নের, সকালের নয়, মাঝে এই বেহুল ও কালরাত্রি বিনে ।