পাতা:মহাপৃথিবী - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>○○や一○b エ অনেক চিন্তার স্বত্র সমবায়ে একটি মহৎ দিন এখানে গঠন ক’রে যেতেছিলো কয়েকটি স্থির সমীচীন যুবা এসে —কোথাও বিদ্যুৎ নেই—তবুও আগুন যেন ধীরে জলেছিলো, এই হরিতকীকুঞ্জে মাঘের তিমিরে ; ভোর এলে ;–ভারুই পাখির মতো কেউ তবু হয়নিকো আকাশে উডডীন ! উড়িবার কাজ সব আগন্তুক বৃহৎ চিলের তরে রেখে অনেক আশ্চর্য শ্লোক খোজা হ’লে ভারতীয় মনীষার থেকে ; যেন সব অমেয় মুদূর বৃক্ষে বাতাসের সংগীতের মতে : আমাদের সচেতন তাড়নায় প্রাণ পেয়ে জেগেছে ফলত ;– চোখ ক্লান্ত হয় তবু নখের ভিতরে হিম, নিরুত্তর দর্পণকে দেখে । তবু সেই অপার্থিব স্বর কেউ ভুলে যেতে পারে ? দুই কানে মোম ঢেলে শুনিতে চাইনি মধ্যসমুদ্রের অন্ধকারে আমাদের কাছে ছিলো সেদিন তা জানজিবার সমুদ্রের অই পারে—কাম ; তাহারে এড়াতে গিয়ে করেছি অদ্ভূত প্রাণায়াম — যেমন প্রবীণ তার যৌবনের প্রেম ঢেকে রাখে চোখঠারে । এখানে হলুদ ঘাসে—কাকরের রাস্তায়—নোনাধরা দেয়ালের ঘরে হৃদয়ে গঞ্জন। এক জেগেছিলো বৃশ্চিকের মতন কামড়ে । এ-পৃথিবী পাক খায়,—তবু কেউ কচুয়ের পরে রাখে ভর যেন স্পষ্ট সৌরজগতের এক সুশৃঙ্খল কেন্দ্রের ভিতর রয়েছে সে —অনন্ত ব্ৰহ্মাও যেন সন্ধ্যার হাসের মতে ফিরে আসে ঘরে । ঘরের হরিণ পারে অনায়াসে চলে যেতে গৃহস্থের গোধুম মাড়িয়ে । সেই পথ থেকে তৰু স’রে গিয়ে অন্য-এক অহংকার নিয়ে কয়েকটি যুব, নারী,—সমাহৃত হয়ে গিয়ে ছুরির ফলায় এখানে বাটের দিকে চেয়েছিলে ;– কার যেন স্থির মুষ্টি টের পাওয়া যায় ;