পাতা:মহাপৃথিবী - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিভূত হয়ে আছে—চেয়ে দ্যাথো—বেদনার নিজের নিয়ম। নেউলধূসর নদী আপনার কাজ বুঝে প্রবাহিত হয় ; জলপাই-অরণ্যের ওই পারে পাহাড়ের মেধাবী নীলিমা ; ওই দিকে স্থষ্টি যেন উষ্ণ স্থির প্রেমের বিষয় ; প্রিয়ের হাতের মতো লেগে আছে ঘড়ির সময় ভুলে গিয়ে আকাশের প্রসারিত হাতের ভিতরে । সেই আদি অরণির যুগ থেকে শুরু ক’রে আজ অনেক মনীষা, প্রেম, নিমীল ফসলরাশি ঘরে এসে গেছে মামুযের বেদন ও সংবেদনাময় । পৃথিবীর রাজপথে—রক্তপথে—অন্ধকার অববাহিকায় এখনো মানুষ তবু খোড়া ঠ্যাঙে তৈমুরের মতে বার হয়। তাহার পায়ের নিচে তৃণের নিকটে তৃণ মূক অপেক্ষায় ; তাহার মাথার পরে সূর্য, স্বাতী, সরমার ভিড় ; এদের নৃত্যের রোলে অবহিত হ’য়ে থেকে ক্রমে একদিন কবে তার ক্ষুদ্র হেমন্তের বেলা হবে নিসর্গের চেয়েও প্রবীণ ? চেয়েছে মাটির দিকে—ভূগর্তে তেলের দিকে সমস্ত মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অবিরল যারা, মাথার উপরে চেয়ে দেখেছে এবার ; দুরবিনে কিমাকার সিংহের সাড়া পাওয়া যায় শরতের নির্মেঘ রাতে । বুকের উপরে হাত রেখে দেয় তারা । যদিও গিয়েছে ঢের ক্যারাভান ম’রে, মশালের কেরোসিনে মানুষেরা অনেক পাহার দিয়ে গেছে তেল, সোনা, কয়লা ও রমণীকে চেয়ে ; চিরদিন এই সব হৃদয় ও রুধিরের ধারা । মাটিও আশ্চর্য সত্য। ডান হাত অন্ধকারে ফেলে אר