পাতা:মহাপৃথিবী - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নক্ষত্রও প্রামাণিক ; পরলোক রেখেছে সে জেলে ; অনুত সে আমাদের মৃত্যুতে ছাড়া । মোমের আলোয় আজ গ্রন্থের কাছে ব’সে—অথব। ভোরের বেল। নদীর ভিতরে আমরা যতটা দূর চলে যাই—চেয়ে দেখি আরো-কিছু আছে তারপরে । অনির্দিষ্ট আকাশের পানে উড়ে হরিয়াল আমারও বিবরে ছায়া ফ্যালে । ঘুরোনো সিড়ির পথ বেয়ে যার উঠে যায় ধবল মিনারে, কিংবা যারা ঘুমস্তের মতো জেগে পায়চারি করে সিংহদ্বারে, - অথবা যে-সব থাম সমীচীন মিস্ত্রির হাত থেকে উঠে গেছে বিদ্যুতের তীরে, তাহার। ছবির মতো পরিতৃপ্ত বিবেকের রেখায় রয়েছে অনিমেষ । হয়তো অনেক এগিয়ে তার দেখে গেছে মানুষের পরম আযুর পারে শেষ জলের রঙের মতো স্বচ্ছ রোদে একটিও বোলতার নেই অবলেশ । তাই তারা লোষ্ট্রের মতন স্তব্ধ । আমাদেরও জীবনের লিপ্ত অভিধানে বর্জাইস অক্ষরে লেখা আছে অন্ধকার দলিলের মানে । স্বাক্টর ভিতরে তবু কিছুই সুদীর্ঘতম নয়—এই জ্ঞানে লোকসানি বাজারের বাক্সের আতাফল মারীগুটিকার মতে পেকে নিজের বীজের তয়ে জোর ক’রে সূর্যকে নিয়ে আসে ডেকে । অকৃত্রিম নীল আলো খেলা করে ঢের আগে মৃত প্রেমিকের শব থেকে । একটি আলোক নিয়ে ব’সে-থাকা চিরদিন ; নদীর জলের মতে স্বচ্ছ এক প্রত্যাশাকে নিয়ে ; সে-সবের দিন শেষ হ’য়ে গেছে এখন স্থষ্টির মনে—অথবা মনীষীদের প্রাণের ভিতরে । স্বষ্টি আমাদের শত শতাব্দীর সাথে ওঠে বেড়ে । একদিন ছিলো যাহা অরণ্যের রোদে—বালুচরে, সে আজ নিজেকে চেনে মানুষের হৃদয়ের প্রতিভাকে নেড়ে । আমরা জটিল ঢের হয়ে গেছি—বহু দিন পুরাতন গ্রহে বেঁচে থেকে । যদি কেউ বলে এসে : ‘এই সেই নারী, p- в