পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম তাধ্যায় । సిసి প্রাণ ধারণ বিফল। হা কাল ! তোমার কবল হইতে কেহই উত্তীর্ণ হইতে পারে না । হা প্রমদাবিয়োগসময় ! তুমি কি সংহারকালস্বৰূপ হইলে ? হা সতি ! হা প্রাণেশ্বরি! হা প্রাণপুত্তলিকে । পিতার যজ্ঞ দর্শনে তোমাকে অনেক নিবারণ করিয়ছিলাম, সেই অপরাধে কি পরিত্যাগ করিলে ? হা সতি ! তোমার যে আশ্চর্য্য সতীত্ব; যাবদীয় সতীরাইত পতির সুখে সুখিনী, দুঃখে দুঃখিনী, ও মরণে প্রাণত্যাগিনী হইয়া থাকে ; তুমি কি পতির নিন্দ শ্রবণেও প্রাণত্যাগ করিয়া পৃথিবীতে পতিভক্তির চমৎকার উপমাস্থল হইলে ? হা সতি ! হা ত্রিলোকদুল্লভে । হা প্রাণবল্লভে ! একবার আমাকে দশন দান করিয়া দগ্ধ হৃদয় শীতল কর । এই প্রকার ত্রিলোচন বহু বিলাপ করিতে লাগিলেন । শিবক্রোধে বীরভদ্রের উৎপত্তি । শূলপাণি মহাদেব নারদের মুখে শেলাঘাতসদৃশ সতীর বিয়োগবাৰ্ত্ত অবগত হইয়া, বাণবিদ্ধ। মৃগীর স্যায় কাতর, এবং তাপযুক্ত হইয়া বহুতর বিলাপ করিতে লাগিলেন। অনন্তর ক্রোধাম্বিত হইয়া ত্রিনয়নের নয়ন হইতে যুগান্ত কালীন প্রচণ্ড অগ্নি নিঃস্থত হইতে লাগিল; তদর্শনে প্রমথগণ ভয়ে নিস্তব্ধ, চতুর্দশ ভুবন ক্ষুব্ধ, ও পৰ্ব্বত সকল কম্পমান হইতে লাগিল। তৎপরে, সেই পাবকরাশি হইত্বে মহাকায়, অমিতবলশালী, শ্বলহস্ত এক বীর উৎপন্ন হইলেন ; তিনি কালান্তক যমসদৃশ, ভস্মৰিভূষিতদেহ,