পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম অধ্যায় । ১১৭ কেহ মুচ্ছিত হইয়াও পড়িল। এই প্রকার অভূতপূৰ্ব্ব ভাবদর্শন করিয়া ব্রহ্মা চমকিত হইয়া নারায়ণের মুখাবলোকন করিতে লাগিলেন। গাম্ভীৰ্য্যগুণসাগর চতুরচুড়ামণি বিষ্ণু অমনি ঈষদ্ধান্ত মুখে সাহসবৰ্দ্ধক বাক্যে বলিতে লাগিলেন, কি হে প্রমথগণ! তোমাদের সকলের কি মতিভ্রম হইল? সতীশোকে তোমার প্রভুরও পরলোক হইল, এই বিবেচনায় তোমরা শোকাকুল হইতেছ? কি আশ্চর্য্য, ই রে নিৰ্ব্বোধগণ মৃত্যুঞ্জয়ের আবার কি মৃত্যু আছে? উহাকে এখনি আমি সচেতন করিতেছি। চক্রপাণির আশ্বাস বাক্যে আশ্বস্ত s প্রমথগণ সকলে পূৰ্ব্বাপেক্ষায় কিঞ্চিৎ স্বস্থির হইল। রrঅচেতন ছিল, তাহাদের কর্ণে বিষ্ণুবাক্য প্রবিষ্ট হইলে সকলেই সচেতন হইল। প্রমথগণ পূৰ্ব্বভাব প্রাপ্ত হইলে ব্রহ্মা এবং বিষ্ণু উভয়ে শিবপাশ্ববৰ্ত্তী হইয়া শিবগাত্রে হস্ত প্রদান করত বলিলেন, হে প্রমথনাথ ! তোমার প্রমথগণ যে অনাথের স্তায় রোদন করিতেছে ; উহাদিগকে শান্তন করুন ; ভবাদৃশ ব্যক্তি শোকতাপের বশীভুত হইলে মহান বিশৃঙ্খল৷ উপস্থিত হইবে। বিষ্ণুর এই বাক্যে কিঞ্চিৎ সচেতন হইয়াই প্রমথগণের ক্ৰন্দনকোলাহল শ্রুতিগোচর হওয়াতে, ক্ষীরকণ্ঠ শিশুরোদনে নিদ্রিত প্রস্থতি যেমত সচমকে ভগ্ননিদ্রা হয়, সেই প্রকার সতীনাথ হঠাৎ গাত্রোথান করিয়া হস্তসঙ্কেতে প্রমথগণের রোদন শান্তি করত নয়ন উন্মীলনপূৰ্ব্বক দীঘনিশ্বাস পরিত্যাগ করিতে লাগিলেন, আর নয়নজলে বিশাল বক্ষঃস্থল ভাষমান হইতে লাগিল। তখন ব্রহ্মা বিষ্ণু একবাক্য হইয়া মহেশ্বরকে বলিতে লাগিলেন, যোগাশ্বর !