পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ মহাভাগবত । বেদব্যাসের প্রতি দৈববাণী । পরাশরসন্তান ব্যাসদেব বহুকাল কঠোর তপস্যা করিলে, ভক্তবৎসল৷ সৰ্ব্বাণী সন্তুষ্ট হইয়া অদৃশ্বৰূপে আকাশপথে থাকিয়া বলিলেন, হে মহর্ষে ! যে স্থানে বেদচতুষ্ট্রয় আছেন, তুমি সেই ব্রহ্মলোকে গমন কর, আমার নিৰ্ব্বিকার পরম তত্ত্ব জানিতে পারিবে। শ্রুতিগণ কর্তৃক স্তবপাঠে আমি দৃষ্টিগোচর হইয়া তোমার অভিলাষ পরিপূর্ণ করিব। বেদব্যাস এইপ্রকার আকাশবাণী শুনিয়া সত্বরেই ব্ৰহ্মলোকে গমন করিলেন। তথায় বিরাজমান বেদচতুষ্টয়ের স্থগ্রে বিনয়ান্বিত হইয়। সাষ্টাঙ্গ প্রণামপূর্বক জিজ্ঞাস। করিলেন, হে এতিগণ ! ব্রহ্ম তত্ব কি, তাহ প্রকাশ করিয়া এই শরণাগত শিষ্যের সংশয় ছেদ করত কৃতাৰ্থ করুন। । মুহৰ্ষির ঐপ্রকার বিনয় বাক্যে বেদচতুষ্টয় দয়াদ্র-হৃদয় হইয়া প্রত্যেকেই ব্ৰহ্মতত্ব বলিতে লাগিলেন। চতুৰ্ব্বেদের ব্রহ্মতত্ত্বকথন । ঋগ্বেদ উবাচ। যদন্তঃস্থানি ভূতানি যতঃ সৰ্বং প্রবর্ততে । যদাহুস্তত্ব পরংতত্বং সৈক ভগবতী স্বয়ং ॥ ঋগ্বেদ বলিতেছেন। স্থূল সুক্ষ এই সমস্ত জগৎ প্রপঞ্চ যাহাতে সুক্ষ ৰূপে বিলীন থাকে, আরবার ক্ষণকাল মাত্রেই যাহার ইচ্ছানুসারে সচরাচর জগৎ হইয়া প্রকাশমান হয়, যিনি স্বয়ং ভগবতী শব্দে কীৰ্ত্তিতLহন, সেই পরম তত্ত্ব ।