পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম অধ্যায় । ১২৫ রহিয়াছে ; হঠাৎ দেখিলে নিদ্রিতার স্যায় বিবেচনা হয়। মহাদেব, হা প্রাণপ্রিয়ে!, বলিয়া সেই মৃতদেহ উত্তোলন করত প্রথমতঃ হৃদয়ে, পরে মস্তকে ধারণ করিলেন ; তাহাতেই ত্রিলোচনের নিতান্ত শোকসন্তপ্তহৃদয় প্রায় সুশীতল হইল ; তখন দুঃখ নিবৃত্তি বোধক"আঃ”এইশদ করির উৰ্দ্ধাবলোকন করত বলিলেন, হে পরমেশ্বরি! আপনার অমোঘ বাক্যের কি এতাদৃশী শক্তি ? এই মৃতদেহ পূর্বেও ত স্পর্শ করিয়াছিলাম, তাহাতে বিরহানল, নিৰ্ব্বাণ হওয়া দূরে থাকুক, বরং শতগুণে প্রবল হইয়াছিল ; কিন্তু এক্ষণে সন্তাপ প্রায় নিবৃত্তি পাইল । সতী পুনৰ্ব্বার জন্মলাভ করিয়া যাবৎ রূপ না করিবেন, সেই পর্যন্ত মনোবেদন সম্পূর্ণ নিবৃত্ত হইবে না। এক্ষণে সহস্ৰ সহস্ৰ বৃশ্চিকের দংশনাধিক যে গাত্রদাহ হইতেছিল, তাহ। হইতে পরিত্রাণ পাইলাম ; দারুণ দুঃসময়ে ইহাপেক্ষা মঙ্গল আর কি আছে ? এই বলিয়া শস্তু পরমহাদে যুক্ত হওত, সেই মৃতদেহ মস্তকে লইয়া নৃত্য করিতে লাগিলেন। প্রভুর আনন্দোদয় দেখিয়া প্রমথগণও চতুর্দিকে গালবাদ্য কক্ষবাদ্য করত মৃত্য করিতে আরম্ভ করিল। সেই কৌতুকাবহ ব্যাপার দর্শন জন্য ব্রহ্মাদি দেবশ্রেষ্ঠ এবং ইন্দ্র দি দেবতা, সকলেই নভোমণ্ডলে সমাগত হইলেন, এবং প্রমথনাথের সুললিত মৃত্য দর্শনে আনন্দে গদগদচিত্ত হইয়া পুষ্পবৃষ্টি করিতে লাগিলেন। মহাদেব নৃত্য করিতে করিতে মৃত দেহকে কখন বামহস্তে, কখন দক্ষিণ হস্তে,কখন বক্ষে, কখন মস্তকে রক্ষা করেন, আর মৃত্য করেন। কতিপয় দিবস এই ৰূপে আনন্দভরে উন্মত্তপ্রায় হইয়া নৃত্য করাতে, তাহার