পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>&や মহাভাগবত । চরণাঘাতে ধরণী কম্পিত হইতে লাগিল ; হর্ষেণদ্বেগে সতীনাথ নিজদেহকে পৰ্ব্বতাধিক পুষ্ট করিয়া আপনার গিরিশ নামটিকে জাগরুক করিয়া নাট্য করিতে লাগিলেন। ভয়ানক তাণ্ডবদর্শনে ত্রিলোক ভীত হইয়া উঠিল, চন্দ্রলোকস্থ চন্দ্র ভয়ে ভীত হইয়া শিবললাটে তিলকভাবে শরণাগত হইল, আন্দোলিত জটার আঘাতে নক্ষত্রমালা ছিন্ন ভিন্ন হইতে লাগিল, দিবাকর ভীত হইয়া কণ্ঠভূষণ হইলেন, কুর্মের সহিত অনন্তদেব ভারবহনে অক্ষম হইয়া পৃথিবীকে মস্তক হইতে পরিত্যাগ করিতে উদ্যত হইলেন ; নাট্যবেগবশতঃ পবন এৰূপ থরতর বেগে বহিতে লাগিলেন যে, তদ্বারা সুমেরু প্রভৃতি পৰ্ব্বত সকল সঞ্চালিতুহইতে থাকিল। এইপ্রকারে খেচর এবং ভূচর প্রভৃতি প্রাণিগণকে প্রপীড়িত করত নৃত্য করিতে করিতে সমস্ত পৃথিবী ভ্রমণ করিয়া বলিতে লাগিলেন, “ সতি! তুমি পূর্ণ প্রকৃতি, তুমি আমার ভার্য্যা হইয়াছিলে, অতএব তোমার দেহ লইয়া নৃত্য করাই আমার শ্রেয়স্কর কার্য্য ”। এইৰূপে নিজ ভাগধেয় বর্ণনা করত অধিকতর নৃত্য করিতে লাগিলেন । তখন সমস্ত জগৎ ক্ষুব্ধ হইয়া উঠিল, পক্ষিগণ মৃতকম্প হইয়। বৃক্ষ হইতে ভূপৃষ্ঠে পতিত হইতে লাগিল ; অকালে প্রলয় কাল উপস্থিত হইল, এই ভাবিয়া ব্রহ্মা ভীতমনা হইয়া মহর্ষিগণকে সুমহৎ সস্ত্যয়ন করিতে আজ্ঞা করিলেন ; ইন্দ্রাদি দেবতা স্নান বদনে চিন্তা করিতে লাগিলেন। ব্ৰহ্মাদি দেবতাকে ব্যাকুলহৃদয় দেখিয়া বিষ্ণু বলিলেন, হে দেববৃন্দ ! তোমরা ভীত হইও না, আমি ইহার উপায় করি