পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3○6 মহাভাগবত । বারেই কি নষ্ট করিবেন ? নারদ এই কথা বলিলে ত্ৰিলোচন কিঞ্চিৎসলজবদন হইয়া বলিতে লাগিলেন, বৎস নারদ! আমার মৃত্যুভরে ধরণীর এতদূর দুরবস্থা ঘটিয়াছে ? বৎস! শোকভরে আমি প্রায় জ্ঞানশূন্তই হইয়াছি; যাহা হউক, এক্ষণে শান্ত হইলাম ; কিন্তু আমার সতীদেহকে কোন ব্যক্তি হরণ করিল, তাহ প্রকাশ করিয়া চঞ্চল চিত্তকে পরিতৃপ্ত কর। তখন নারদ বলিলেন, দয়াময় ! সতীর মৃতদেহ লইয়া আপনি নৃত্য আরম্ভ করিলে, সেই সুললিত নৃত্য দর্শন করিয়া সুরাসুর প্রভৃতি সকলেই পরমাহলাদ প্রাপ্ত স্ট্রয়া ছিলেন। ততঃপর ক্রমে নৃত্যবেগ বৰ্দ্ধিত-হইয়া সৰ্ব্বনাশের প্রকরণ উদঘাটিত হইয়া উঠিল; তখন ব্রহ্মাদি দেবতা বিষম সঙ্কট বিবেচনা করিয়া ব্যাকুলান্তঃকরণ হইয়া উপায় অন্বেষণে অক্ষম হইলেন। পরে ত্রিলোকরক্ষাকৰ্ত্ত বিষ্ণু সকলকে আশ্বাস প্রদান করিয়া, আপনাকে শান্ত করিবার অভিপ্রায়ে নিজ চক্র দ্বারা সতীদেহকে খণ্ড খণ্ড করি য়াছেন ; সেই দেহখণ্ড যে যে স্থানে পড়িয়াছে সেই সেই স্থান মহা পীঠৰূপে পরিগণিত হইয়াছে; তন্মধ্যে কামাখ্যানামক মহা পাঠে তপস্যা করিলে আপনি তাহাকে পুনঃ প্রাপ্ত হইবেন ; আমি পিতার নিকট এৰূপ শ্রবণ করিয়াছি; এবং মহাদেবীও এবপ্লকার আজ্ঞা করিয়াছিলেন। নারদ কর্তৃক এই প্রকার অভিহিত হইলে, ত্রিলোচন কোপে কষায়িতলোচন হইয়া, বলিতে লাগিলেন, মহর্ষে! আমি প্রাণবল্লভার মৃতদেহকেই তত্ত্ব ল্য বিবেচনা করিয়া জীবন ।