পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>V)3 মহাভাগবত । পরিবেন না । এই কথা কহিতে কহিতে র্তাহারা কামৰূপে উপস্থিত হইয়া দেখিলেন, মহাদেব তপস্যার অনুষ্ঠান করিয়াছেন, কিন্তু চঞ্চলচিত্তে বিমনায়মান হইয়া ইতস্ততঃ অবলোকন করিতেছেন, এবং নয়নজলে বক্ষঃস্থল অভিষিক্ত হইতেছে। তদর্শনে উভয়েই নিকটস্থ হইলেন। ব্রহ্মবিষ্ণুকে প্রাপ্ত হইয়া সতী-শোকানল আরও প্রবল হইল ; সতীনামানুকীৰ্ত্তন করত ত্রিলোকনাথ প্রাকৃত লোকের দ্যায় মুক্তকণ্ঠে রোদন করিতে লাগিলেন ; তখন ব্রহ্মা ও বিষ্ণু বলিলেন, মহেশ্বর! নিত্য প্রকৃতি সতী কখনই বিনষ্ট হইবার নহেন, ইহা যথার্থ স্বৰূপে জানিয়াও মিথ্যাশোকে বারম্বার অভিভূত হইতে লাগিলেন ! মহাদেব বলিলেন, ভগবন! আপনার যাহা বলিতেছেন, সকলই সত্য; সতী আমার নিত্য প্রকৃতি, স্বষ্টিস্থিতিপ্রলয়কত্রী, সাক্ষাৎ ব্রহ্মৰূপিণী ; ইহা জানিয়াও তঁহাকে পত্নীভাবে দর্শন না করিয়া মনঃ প্রাণ অত্যন্তই ব্যাকুল হইতেছে ; অতএব তাহাকে পুনৰ্ব্বার কিপ্রকারে লাভ করিব, ইহারই উপায়কীৰ্ত্তন করিয়া এই মৃয়মান ব্যক্তিকে প্রাণদান করুন। মহাদেবের কাকুক্তি শ্রবণে ব্ৰহ্মা ও বিষ্ণু সজল-নয়নে বলিতে লাগিলেন, হে দেবদেব ! আপনি শান্তমনা হউন ; এই কামৰূপে স্থিরাবস্থান করত সেই পরমাপ্রকৃতিতে মনোনিধান করিয়া তপস্যা করুন ; এই মহাপীঠে সৰ্ব্বদাই তাহার সন্নিধান আছে ; এস্থানে যিনি সাধনা করেন, সেই সাধকের প্রতি তিনি অবশুই প্রসন্ন হন, এবং তাহার, মনোভিলাষ পরিপূর্ণ হয় ; এই মহাপীঠের মাহীত্ম্যের সীমা করিতে কাহারই সাধ্য নাই,