পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>६२ মহা ভাগবত । ভবিষ্যৎ বর্তমান ত্ৰিলোকের বৃত্তান্ত সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষের ন্যায় দেখিতেছেন ; যদ্যপি কন্যার জনক জননী সাক্ষাৎকারে কন্যা দান করিতে অক্ষম হন, তবে তাহার। কি পৰ্য্যন্ত দুঃখিত ও পরিতাপিত হইবেন,তাহ সৰ্ব্বজনেরই বিদিত আছে ; অতএব বিধিলিপী যাহা আছে, কদাচ তাহার অন্যথা হইবে না ; এবিষয়ে আমি আর অধিক কি নিবেদন করিব ? মহর্ষি নারদ গিরিরাজ কর্তৃক ঐ প্রকার প্রতিভাষিত হইয়। গগন করলে, গিরিরাজ কিঞ্চিৎ উন্মন হইলেন। অব্যাহতগতি নারদ তৎক্ষণমাত্রেই ব্রহ্মলোকে গমন করিলেন ; ব্রহ্মা ব্রহ্মর্ষিগণে তা বৃত হইয়া যে স্থানে বেদার্থ নিৰ্ব্বাচন করিতেছেন, নারদ সেই স্থানে গমন করত পিতাকে অষ্টাঙ্গে প্রণাম করিলেন ; অনন্তর হৃষ্টচিত্ত হইয়া ব্রহ্মাকে বলিতে লাগিলেন, পিতঃ ! মর্ত্যলোকে গঙ্গার জন্ম হইয়াছে। এই কথা শ্রবণমাত্র ব্ৰহ্মা বেদবাণী হইতে নিবৃত্ত হইয়া পুলকপূর্ণ কলেবরে নরদকে জিজ্ঞাসা করিলেন, বৎস! যদি সম্যকৰূপে অবগত হইয়া থাক, তবে সবিশেষ কী ন করিয়া আমার পিপালিত চিত্তকে পরিতৃপ্ত কর ; ঐ চিন্তা সৰ্ব্বদাই চিত্ত আন্দোলন করিতেছে । ব্রহ্মার বাক্য শেষ হইলে নারদ বলিলেন, পিতঃ ! হিমালয়পত্নী মেনকার গৰ্ত্তে তিনি জন্মগ্রহণ করিয়াছেন ; আমি র্ত হাকে স্বচক্ষে দর্শন করিয়া আসিতেছি । এই কথা শুনিয়া ব্রহ্মা কিঞ্চিৎকাল নয়ন নির্মীলন করত গম্ভীর শব্দে বলিতে লাগিলেন, ব্রহ্মর্ষিগণ ! অদ্য নারদ আমাকে নিরতিশয় সুখের সন্দর্শন করাইল। বৎস নারদ । তুমি ধন্য, যথার্থই তত্ত্বজ্ঞ হইয়াছ। এই কথা বলিয়া পুত্রকে