পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ অধ্যায় (\b অত্যন্ত সমুৎসুক হইয়া কামৰূপ পীঠে গমন করত দেখিলেন, মহাদেব যোগচিন্তাপরায়ণ হইয়া ধ্যাননিষ্ঠ রহিয়াছেন। র্তাহার পদ্মাসন দৃঢ়বদ্ধ ; দেহ পাদপের স্যায় নিশ্চল; ত্রিনয়ন ঈষৎ উষ্মীলিত । ( দেবর্ষি ) এইৰূপ দর্শন করিয়া বিবেচন। করিলেন, ইহার ইন্দ্রিয় সকল অন্তহিত হইয়াছে ; এক্ষণে নিব্বিকাপক সমাধি দ্বারা বাহচৈতন্ত্যবিহীন ; অতএব বারস্বর ঘোরতর চীৎকার করিলে যদি সমাধি ভঙ্গ হয় ; কিন্তু যোগ ভঙ্গ হইলে ক্রুদ্ধ হইবেন, কি প্রকৃতিস্থ থাকিবেন, তাহা ও বলিতে পারি না ; যদি ক্রোধানল প্রজ,লিত হয়, তাহ হইলেই সব্বনাশ ; যদিও আমি শুভ সংবাদ জ্ঞাপন করিব, তথাপি এসময়ে কৰ্ত্তব্য নহে। মুনি এই প্রকার চিন্তা করত একাগ্র নয়নে তাহার বদন নিরীক্ষণ করত দণ্ডায়মান রহিলেন । কিয়ৎকাল পরে দেখিলেন, সমাধির কিঞ্চিৎ শিথিলত হইল, এবং নাসারন্ধে স্বম্প নিশ্বাস প্রবাহিত হইতে লাগিল ; তদর্শনে অতি সন্নিকৃষ্ট হইয়া বলিলেন, হে দেবদেব ! হে জগদগ,রো ! আমি নারদ, আপনাকে নমস্কার করি ; আমি সতীর অন্বেষণ জন্য আপনার নিকট হইঠে গমন করিয়াছিলাম, সম্প্রতি শুভ সংবাদ লইয়া সমাগত হইয়াছি; সতীদেবী আপনাকে পতি ইচ্ছা করিয়াই পুনঝর্ণর হিমালয়গৃহে জন্মলাভ করিয়াছেন ; অতএব এক্ষণে যোগচিন্তা পরিত্যাগ করিয়া তাহার পাণিগ্রহণ করত, দেবগণের অভিলাষ সফল করুন | মহাদেব নারদের বাক্য শ্রবণ করত আনন্দে মগ্নচিত্ত হইয়। স্বকীয় মস্তক সঞ্চালনপুৰ্ব্বক বাহ্য চৈতন্ত প্রকাশ R