পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/১৭৩

মহাভাগবত । آپ 9 ج যাবদীয় জগতের পদার্থ স্ত্রীপুত্র মিত্ৰাদি সাধারণ সকলেরই প্রতি ঘৃণা হইয়। যদ্বারা আমার সচিদানন্দস্বৰূপ নিত্য বিগ্রহে মনোনিবেশ হয়, তদুপযোগি বেদান্তাদি শাস্ত্রে নিবিষ্টচেতা হয় । গুৰূপদেশ সহকারে ঐ সকল অধ্যাত্ম শাস্ত্রের অালোচনা করিতে করিতে আমার নিত্য কলেবরে সেই অপাের আনন্দসাগরে কোনও সময়ে অত্যপেকালের জন্য অন্তঃকরণে স্পর্শ হয় ; তাহাতেই জগতের যবিদীয় পদার্থকে অত্যপ জঘন্ত সুখের কারণ বোধ হয়; তজষ্ঠ কোন বস্তুতে অভিলাষ বিশেষ হয় না ; সুতরাং কামনার পরিভাগ হইয়া যায় সমুদায় জীবপদার্থে আমার সত্তনিকুয় হইয়। সকল জীবের প্রতিই পরম যত্ন উপস্থিত, সুতরাং হিংসা ও পরি ত্যাগ হয়। এবস্তপ্রকারে ভাবাপন্ন হইলেই জুবিন অবিভূর্ত হন, ইহাতে সংশয় নাই ; তত্ব জ্ঞান উপস্থি৬ হইলেই আমার নিতানন্দ বিগ্রহ যে পরমাত্মভাব তাহাই সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষ হয়, তাছাতেই জীবন্ম, ক্তির লাভ, পিতঃ ! আমি পারমার্থিক সত্যবাক্য তোমারে বলিতেছি। কিন্তু আমার ভক্তিবিমুখ ব্যক্তিদের সম্বন্ধে এই তত্বজ্ঞান অতিশয় দুল্ল ভ অতএব যে ব্যক্তি ভব-যন্ত্রণ। হইতে মুক্তির ইচ্ছা করিবে সে যত্নপূর্বক সৰ্ব্বদা অামাতে ভক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করিবে। হে মহারাজ ! তুমিও এই প্রকার যদুক্ত অনুজ্ঞান সৰ্ব্বদা কর । তাছা হইলেই সংসারের নিখিল দুঃখের দ্বারা কদাচই বাধ্য হইবে না। এই মহাভাগবতে মহাপুরাণে ভগবতী-গীতাতে ব্রহ্মবিদ্যাতে যোগশাস্ত্রে পঞ্চদশ অধ্যায়। 3.