পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোড়শাধ্যায় । হিমালয় বলিয়াছিলেন । হে মাতঃ ! বিদ্যা কিপ্রকার, যে বিদ্যা হইতে মুক্তিলাভ হয় ; এবং আত্মার স্বৰূপ তত্বই বা কি ; হে মহেশ্বরি ! সেই সকল কথা আমার সম্বন্ধে বলুন । পাৰ্ব্বতী বলিয়াছিলেন । পিতঃ ! যন্ত্রণাময় ভবসংসারের নিবৃত্তিকারিণী যে বিদ্যা, তাহার স্বৰূপ সংক্ষেপে বলিব ; হে মহামতে ! শ্রবণু কর। দেহ, প্রাণ, মন, বুদ্ধি, অহংকৃতি ও ইন্দ্রিয়গণ, এই সকল হইতে পৃথক যে অদ্বিতীয়, চিদানন্দ, নিশ্চয় বিশুদ্ধিময় আত্মা, তাহাকে যে জ্ঞান দ্বারা জানা যায়, সেই জ্ঞানের নাম বিদ্যা একান্ত বিশুদ্ধস্বভাব নিরাময় যে আত্মা, তিনি জন্মনাশাদিরহিত ; মন এবং বুদ্ধ্যাদিশ্বৰূপ যে উপাধি, তৎশূন্ত জ্ঞান, আনন্দ, তেজ, এই ত্রিতয়ময় জানিবে। সেই আত্মার করচরণাদি কিছুই নাই ; কিন্তু র্তাহার অনবহিত কটাক্ষের সম্পকমাত্রে স্বস্ট্যাদি সমুদায় কাৰ্য্য সুশৃঙ্খলামত হইতেছে ; স্থৰ্য্যকিরণ, চন্দ্রকিরণ, কিম্বা জ্বলন্তানলের অালোক, সুর্য্য, চন্দ্র, অগ্নি, ঐ সকলের উপাধি হইয়াছে বলিয়া উহার সোপধিক তেজ, কোন স্থানে বা অত্যন্ত প্রখর ; কোন স্থানে বা মৃদুতর ; কিন্তু সেই সেই নিরুপাধিক-তেজোময় আত্মার এতই চমৎপ্রভা, যে স্থানে २२